মিথ্যা তথ্য ও ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে আদালতে যৌতুক মামলা দেওয়ার অপরাধে ছাবিকুন নাহার পারুল (৩৯) নামে এক নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রবিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে গোপালগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক (কাশিয়ানী আমলি আদালত) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা পিয়া এ আদেশ দেন।
অভিযুক্ত ওই নারী ছাবিকুন নাহার পারুল গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী সদরের শেখ আবুল হাসেমের কন্যা এবং ইয়াসিন শেখের স্ত্রী। স্বামী ইয়াসিন শেখ ২০১৪ সালে মারা যান। তাদের ঘরে রয়েছে দুটি পুত্র সন্তান।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে ২০২৪ সালের মে মাসে কাশিয়ানী সদর এলাকার বাসিন্দা মো. সবুজ আল সাহবা (৩১) নামে এক যুবককে স্বামী দাবি করে গোপালগঞ্জ আদালতে যৌতুক মামলা দায়ের করেন ওই নারী। ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করেন তিনি। এ মামলায় ওই যুবক আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠায়। ৩ দিন কারাভোগ করে জামিনে মুক্তি পান ওই যুবক। পরে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
সিআইডি মামলার ঘটনার সত্যতা পায়নি। এরপর ওই নারীর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতি মামলার অভিযোগ এনে মামলা করেন ভুক্তভোগী যুবক সবুজ। সেই মামলায় রোববার হাজিরা দিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে জামিন আবেদন করেন ওই নারী। বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জুডিশিয়াল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি(পিপি) অ্যাডভোকেট এম এ আলম সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যৌতুক মামলাটি আদালতের কাছে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ভুক্তভোগীর দায়ের করা জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলায় ওই নারীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।