জুমবাংলা ডেস্ক : মুক্তিযোদ্ধার পোষ্য কোটায় চাকরি করা ব্যাংক কর্মচারীর বেতনের ২৮ লাখ টাকা ফেরত দাবি করেছে সোনালী ব্যাংক পাথরঘাটা শাখা। চাকরি নেওয়ার সময় দাখিল করা মুক্তিযোদ্ধা সনদ ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় আদালতে মামলা করেছে পাথরঘাটা শাখা সোনালী ব্যাংক। টাকা অনাদায়ে মালপত্র ক্রোক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মুক্তিযোদ্ধা পোষ্য ব্যাংক কর্মচারীর নাম সোহাগ সমদ্দার, পিতা নিত্যানন্দ সমদ্দার, বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের তালুকের চরদুয়ানী গ্রামে।
তিনি তাঁর পিতার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে সোনালী ব্যাংকে ক্যাশ অফিসার পদে চাকরি নিয়ে সাড়ে তিন বছর চাকরি করেছেন।
সোনালী ব্যাংক পাথরঘাটা শাখার ব্যবস্থাপক মো. আবদুল জলিল জানান, সোনালী ব্যাংকের চাকরির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বিধিমোতাবেক আবেদন করে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অফিসার (ক্যাশ) পদে নির্বাচিত হয়ে সোহাগ সমদ্দার ২০১৫ সালের ৫ জুলাই পাথরঘাটা শাখায় যোগদান করেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, তাঁর পিতার দাখিল করা মুক্তিযোদ্ধার সনদ ভুয়া। দাখিল করা একটি সাময়িক সনদে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্বাক্ষর রয়েছে।
২০০৬ সালের ১ জুন সনদ ইস্যু করা হয়েছে (যার স্মারক মু ব ম/সা/বরগুনা/প্র-৩/৪৭/২০০২/২১২৭, তাং ০১.০৬.২০০৬)।
এর আগে সোনালী ব্যাংক পিএলসি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ গত ১১.০৫.২০২২ তারিখ তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে ।
পাথরঘাটা সার্টিফিকেট অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ সেপ্টেম্বর সরকারি অর্থ আদায়ের জন্য ১৯১৩ সালের সরকারি পাওনা আদায়ের আইন মোতাবেক মামলা রুজু হলে সোহাগ সমদ্দারকে ২৭ লাখ ৮৪ হাজার ৪৯ টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সার্টিফিকেট অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খান কালের কণ্ঠকে বলেন, সরকারি পাওনা পুনরুদ্ধার করতে প্রয়োজনে মালপত্র ক্রোক বা সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে আদায় করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।