জুমবাংলা ডেস্ক : পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে যাত্রাবাড়ীর ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিত হাওলাদার ভুল চিকিৎসায় মারা গেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তার সহপাঠীরা। তাদের দাবি, অভিজিতের মৃত্যুর পর ১০ হাজার টাকা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এজন্য হাসপাতালে ভাঙচুরও চালিয়েছেন।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, দনিয়া কলেজসহ আশপাশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থী হাসপাতালের সামনে জড়ো হন। তারা স্লোগান দিয়ে হাসপাতালের নামফলক ও গেট ভাঙচুর করেন।
এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত ভাঙচুর চলাকালে সেখানে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছে। পাশে পুলিশ থাকলেও তাদের কোনো অ্যাকশনে যেতে দেখা যায়নি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অভিজিত হাওলাদার ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তির দুইদিন পর ১৮ নভেম্বর মারা যান। মারা যাওয়ার পর ১০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা অভিজিত নেশাগ্রস্ত ছিল বলে পাল্টা অভিযোগ করে।
ঘটনার দুদিন পর শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানাতে আসলে কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা তাদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। হামলা ও পুলিশের টিয়ারশেলে ছত্রভঙ্গ হয়ে তারা সেদিন চলে যান। ওই হামলার প্রতিবাদ জানাতে আশপাশের কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে রোববার ন্যাশনাল মেডিকেলের সামনে আসেন অভিজিতের সহপাঠীরা।
সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের সহপাঠী অভিজিত হালদারের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ তুলে কিছু বহিরাগত এনে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভাঙচুর করেছেন। তারা কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজও কিছুটা ভাঙচুর করেছে। এদের মধ্যে অনেকেই ছিল বাইরের লোক। আমরা জানতে পেরেছি, ফাসিস্ট আওয়ামী লীগের ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়েও হাসপাতাল ভাঙচুর করেছে তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।