জুমবাংলা ডেস্ক : মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে বিলম্ব মাশুল ছাড়াই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সরকারি নির্দেশনা থাকলেও আদায় করা হচ্ছে মাশুল। সঙ্গে লাগামছাড়া ভূতুড়ে বিলের বোঝা। তারই সূত্র ধরে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) গ্রাহক এলাকায় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়েই বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিল করার লিখিত নির্দেশ কারা দিয়েছেন, তা খুঁজে দেখতে কমিটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের বক্তব্যের বরাত দিয়ে আজ মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি গণমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গণমাধ্যমকে বলেন, এই ঘটনা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে করা হয়েছে। এত বড় সিদ্ধান্ত ডিপিডিসি নিতে পারে না। এটি আইনবহির্ভূত কাজ। সরকার করোনাকালে (ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ) বিল নেওয়া বন্ধ রেখেছিল। পরে এই বিল যখন গ্রাহক দিয়েছে, তখন বিলম্ব মাশুল দিতে হয়নি।
তিনি বলেন, ডিপিডিসির আইসিটি বিভাগ থেকে একটি চিঠি পাঠিয়ে ঢাকার দক্ষিণাঞ্চলে ও নারায়ণগঞ্জে গ্রাহকদের কোথায় কতটুকু বেশি বিল করতে হবে, এমন একটি খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এ খবরের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
বেআইনি এ ধরনের ঘটনা কীভাবে ঘটল, তা খতিয়ে দেখতে কমিটি করা হবে। যারা দায়ী, তারা শাস্তি পাবেন, যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
উল্লেখ্য, একদিকে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব, অন্যদিকে অর্থনৈতিক স্থবিরতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত তিন মাসের আবাসিক গ্রাহকের বিদ্যুতের বিল নেয়া বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় সরকার।
জুন মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত মওকুফ করা হয় সারচার্জ। এমন মানবিক ঘোষণার বিপরীতে বকেয়া মাসের বিল ১০ থেকে ১২ গুণ বেশি আসার পাশাপাশি এখনই আদায় করা হচ্ছে জরিমানা।
রাজধানীতে বিতরণকারী দুই সংস্থার মধ্যে ডিপিডিসির গ্রাহকদের অভিযোগ বেশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।