জুমবাংলা ডেস্ক : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে এক অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে তল পেটে লাথি মেরে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ওই ব্যক্তির নাম কফিল উদ্দিন। সে ভূরুঙ্গামারীর শিলখূড়ি ইউনিয়নের উত্তর ধলডাঙ্গার শালঝোড় গ্রামের বাসিন্দা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার সকালে আদালতে প্রেরণ করে।
উল্লেখ্য, শিলখুড়ি ইউনিয়নের উত্তর ধলডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল গফুরের মেয়ে গোলাপী বেগমের সাথে প্রায় সাত বছর আগে একই ইউনিয়নের শালঝোড় গ্রামের কফিল উদ্দিনের বিয়ে হয়। গত ১১ অক্টোবর বিকেলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোলাপী বেগমের সাথে কফিল উদ্দিনের ঝগড়া বাঁধে। এসময় কফিল উদ্দিন গোলাপী বেগমের পিঠে আঘাত করে এবং তল পেটে লাথি মারে। এতে গোলাপী বেগম জ্ঞান হারিয়ে ফেললে প্রথমে গ্রাম্য চিকিৎসক দিয়ে তার চিকিৎসা করানো হয়।
পরে অবস্থার অবনতি হলে গোলাপী বেগমকে ভূরুঙ্গামারী হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে কফিল উদ্দিন ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা চালায়। এঘটনায় পুলিশের সন্দেহ হলে পুলিশ মঙ্গলবার সকালে গোলাপী বেগমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরে ময়না তদন্ত রিপোর্টে আঘাতের চিহ্ন থাকায় পুলিশ স্বামী কফিল উদ্দিনকে গ্রেফতার করে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, ময়না তদন্তে মৃত গোলাপী বেগমের পিঠে দু’টি এবং তলপেটে একটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত কফিল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতে কফিল উদ্দিন তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।