ভূ–উপগ্রহ মাটিতে আছড়ে পড়ার ভয় কিন্তু আছে। তবে তার ফলে যেন কোথাও কোনো বিপর্যয় না ঘটে, সে ব্যবস্থাও আছে। কোনো কৃত্রিম উপগ্রহ (ভূ–উপগ্রহ) যদি কোনো কারণে তার কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত হয়ে মাটিতে আছড়ে পড়ে, সেটা যেন নিয়ন্ত্রিতভাবে কোথাও পড়ে, যেখানে পড়লে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হবে না, সে রকম ব্যবস্থা করা থাকে।
প্রকৃতপক্ষে এ রকম একটি ঘটনা সম্প্রতি ঘটেছেও। মির স্পেস স্টেশনকে নিয়ন্ত্রিতভাবে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এনে ফেলা হয়। আরও বেশ কিছু ভূ–উপগ্রহ বিভিন্ন সময়ে ঘটনাক্রমে কক্ষচ্যুত হলে এভাবে পৃথিবী পৃষ্ঠে ফেলা হয়েছে। প্রশ্ন হলো, কৃত্রিম উপগ্রহগুলোর পতন ঘটে কেন? এর অনেক কারণ আছে।
তবে কোনো কারণে যদি এদের কক্ষপথ পরিভ্রমণের গতি কমে যায়, তাহলে পতন অনিবার্য। গতি কমে কেন? এর একটি বড় কারণ বায়ুমণ্ডল। পৃথিবীর কাছাকাছি ভূ–উপগ্রহগুলো অভিকর্ষ বলের আকর্ষণে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পরিভ্রমণ করে। এই ঘূর্ণন বেগের কারণে তার মহাকাশের দিকে ছিটকে চলে যাওয়ার একটি বল সৃষ্টি হয়।
এই বল ও অভিকর্ষ বলের কাটাকাটি হয়ে কৃত্রিম উপগ্রহ নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরতে থাকে। বলা যায় সে অনবরত পৃথিবীতে পড়তে চায় কিন্তু পারে না। ফলে পৃথিবীর চারপাশে তার আবর্তনকে বলতে পারি, সে আসলে একটি অবিরাম পড়ন্ত বস্তু। কিন্তু বায়ুমণ্ডলে কিছু বস্তুকণা ও গ্যাসীয় পদার্থের বাধার কারণে কৃত্রিম উপগ্রহের ঘূর্ণন গতি কমে যায়। এই কমে যাওয়ার ক্ষতি পূরণের জন্য কৃত্রিম উপগ্রহে জ্বালানির মজুত রাখা হয়। কিন্তু একসময় এই জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে কৃত্রিম উপগ্রহটি শেষ পর্যন্ত পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।