বিনোদন ডেস্ক: ভেঙে গেছে রচনা ব্যানার্জির সাজানো সংসার । কলকাতার সফলতম নায়িকাদের একজন রচনা ব্যানার্জি। ১৯৯০ সালে ‘মিস ক্যালক্যাটা’ খেতাব জেতার মধ্য দিয়ে রঙিন দুনিয়ায় পা রাখেন। এর তিন বছর পর আসেন সিনেমায়। নব্বই দশকে জনপ্রিয়তায় উঠে আসেন প্রথমসারিতে। পরের দশকেও সিনেমায় তার পোক্ত অবস্থান ছিল।
প্রবাল বসুকে ২০০৭ সালে বিয়ে করেন রচনা ব্যানার্জি। স্বামীর সঙ্গে ছবি দেওয়া কিংবা তাকে নিয়ে কখনো কথাও বলেন না রচনা। ব্যক্তিগত জীবন একান্ত নিজের কাছেই রাখতে পছন্দ করেন এই অভিনেত্রী।
রচনা টেলিভিশন জগতের মানুষ। ২০১০ সাল থেকে তিনি ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ রিয়্যালিটি শো সঞ্চালনা করে আসছেন। অনুষ্ঠানটির সাফল্যের সুবাদে তাকেও এই নামে অভিহিত করেন সবাই।
স্বামীর সঙ্গে রচনার সম্পর্ক কেমন, এ নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে। শোনা যায়, তাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। কেননা অনেক দিন ধরেই ছেলেকে নিয়ে আলাদা থাকেন রচনা। রচনা ব্যানার্জির সাজানো সংসার কি ভেঙে গেছে তা নিয়ে ছিল অনেক প্রশ্ন। এবার পুরো বিষয়টা পরিষ্কার করলেন তিনি।
রচনা জানান, প্রবালের সঙ্গে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। নিয়মিত যোগাযোগ হয়, ছেলের খাতিরে দেখা-সাক্ষাতও হয়। তবে তারা একসঙ্গে থাকেন না। আবার তাদের ডিভোর্সও হয়নি।
রচনার ভাষ্য- ছেলের জন্যই আমরা ডিভোর্স নেইনি। কারণ আমি কখনো চাইনি আমার ছেলেকে এই ট্যাগটা দেওয়া হোক যে, তার বাবা-মা ডিভোর্সড। এটা আমার ও প্রবালের যৌথ সিদ্ধান্ত।
বিভিন্ন সময়ে স্বামীর সঙ্গে ছেলেকে নিয়ে রেস্তোরাঁয় যান রচনা। আবার ছেলের পরীক্ষা থাকলে স্বামী বাড়িতে এসে থাকেন, ছেলেকে পড়ান। তিনজনে মিলে একসঙ্গে বসে গল্পও করেন।
কয়েকদিন আগেই বাবাকে হারানোর শোক ভুলে ফের সেটে ফিরেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেটে ফিরেই লাইভ করে রচনা জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘দ্য শো মাস্ট গো অন’।
গত ১৫ নভেম্বর রচনার বাবা রবীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় মারা যান। বন্ধুসম বাবাকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ এই নায়িকা। বাবার চলে যাওয়ার শোক কাটিয়ে উঠতে হয়তো আরও কিছুটা সময় লাগবে তার। কিন্তু এর মধ্যেও বাবার সমস্ত পারলৌকিক কাজ সামলে ফিরেছেন রচনা।
এই গেম শো-র সঙ্গে দীর্ঘ ১১ বছর ধরে যুক্ত রয়েছেন রচনা। দর্শকদের মন জয় করে আসছেন নিয়মিত। পেয়েছেন তুমুল জনপ্রিয়তা। তবে এখন আর আগের মতো বড় পর্দায় দেখা যায় না তাকে। ছোটপর্দায় কাজ করার পাশাপাশি কাপড়ের ব্যবসা করছেন এই তারকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।