আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরাইলের পার্লামেন্ট আজ (বৃহস্পতিবার) আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১ নভেম্বর পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আবারও নির্বাচন অনুষ্ঠিত এ নিয়ে চার বছরের মধ্যে পঞ্চমবারের মতো পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেখানে। খবর পার্সটুডে’র।
আজ ইসরাইলি পার্লামেন্টে তা ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে ভোট গ্রহণ করা হয়। এতে বেশিরভাগ এমপি পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পক্ষে ভোট দেন।
সর্বশেষ যে জোট গঠিত হয়েছিল, তাতে ফাটল ধরায় এই পথে হাঁটল দখলদার ইসরাইলি সরকার। তবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না।
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তার জোটসঙ্গী ইয়াইর লাপিদের অধীন। শুক্রবার (১ জুলাই) তিনি ইহুদিবাদী ইসরাইলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করবেন। কারণ, জোটের শর্ত অনুসারে, সরকারের পূর্ণাঙ্গ মেয়াদের অর্ধেক সময় বেনেট ও অর্ধেক সময় লাপিদ প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।
এদিকে, জোট ভেঙে যাওয়ায় খানিকটা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, আসছে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবারও ক্ষমতায় ফিরবেন তিনি।
ইসরাইল বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, ১৯৪৮ সালে দখলকৃত ভূখণ্ডে প্রতিরোধ তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার কারণেই মূলত ইসরাইলের বেনেট সরকারের পতন ঘটেছে।
ইসরাইলি দৈনিক ইয়াদিউত অহারোনোত জানিয়েছে, ইসরাইলের আরব মুসলিম দলগুলোর সঙ্গে নাফতালি বেনেটের জোট গঠন নিয়ে ডানপন্থীদের নীরবতা ভেঙে যায় ১৯৪৮ সালে দখলকৃত ভূখণ্ডে প্রতিরোধ অভিযান বেড়ে যাওয়ার পর। এরপর সেখানে আবারও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-বিরোধ স্পষ্ট হয়ে পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় বেনেট সরকারের পতন ঘটেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।