ভেঙে গেল সেই আত্মার পাথর, তবে কি বিশ্বযুদ্ধ অনিবার্য!

আত্মার পাথর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কোভিড, অর্থনৈতিক সঙ্কট, তারপর মারণ যুদ্ধ, এই নিয়ে অনেকেই বলছেন, বিশ্ব কি তাহলে বড় কোনও বিপদের দিকে এগিয়ে চলেছে যেখানে তৈরি হবে সভ্যতার সঙ্কট। নস্ত্রাদামুস থেকে বাবা ভঙ্গার একাধিক ভবিষ্যৎবানীকে সত্যি প্রমাণ করে যেন এক চরম সঙ্কটের দিকেই এগিয়ে চলেছে পৃথিবী। সম্প্রতি জাপানেও এমনই এক ঘটনা ঘটে গিয়েছে, যা ইঙ্গিত করছে এমনই এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে।

আত্মার পাথর

সেশো সেকি ওরফে দ্য কিলিং স্টোন, একটি আগ্নেয় শিলা। কথিত আছে সেটিতে একটি অশুভ আত্মা বাস করে এবং টোকিও থেকে খুব দূরে মধ্য জাপানের একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরিতে থেকে উদ্ভুত এই শিলাকে সকলেই সে কারণে সমঝে চলে।। জাপানি পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, পাথরটি একটি অশুভ আত্মাকে নিজের অন্তরে ধারণ করেছে বলে বিশ্বাস করা হয় এবং এটি এত শক্তিশালী যে এটির সংস্পর্শে যে আসে, তাকেই মৃত্যুর মুখে পড়তে হয়।

তিনদিন আগে, অর্থাৎ গত ৫ মার্চ পাথরটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। স্থানীয়দের মন্তব্য, পাথরটি দুটি ভাগে বিভক্ত হওয়ার পরে, জাপানি স্থানীয়রা এবং অনলাইন ব্যবহারকারীরা পাথরটি থেকে ক্রমাগত বিষাক্ত গ্যাস বার হওয়ার বিষয়টি দেখতে পান।

কিলিং স্টোনটিতে তামামো-নো-মাই-এর মৃতদেহ রয়েছে বলে বলা হয়, যিনি একজন সুন্দরী মহিলা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন কিন্তু পরে তাকে নয়টি লেজওয়ালা শিয়াল হিসাবে প্রকাশ করা হয়েছিল। জাপানি পৌরাণিক কাহিনী বলে যে তামামো-নো-মাই ১১০০-এর দশকে সম্রাট টোবাকে উৎখাত ও হত্যা করার জন্য একটি শক্তিশালী জাপানি সামন্ত প্রভুর জন্য কাজ করছিলেন।

ক্ষমা চাইলেন কাঁচা বাদাম খ্যাত ভুবন বাদ্যকর

পাথর ভাঙার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনা নিয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। একজন ব্যক্তি লিখেছেন, ‘এই খবরটি পড়া কিছুটা ভীতিকর, বিশেষ করে বিশ্ব এখন যে অবস্থায় রয়েছে, আমাদের আর এমন বিপদের প্রয়োজন নেই।’

একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আমার মনে হচ্ছে আমি এমন কিছু দেখেছি যা দেখা উচিত নয়।’ তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘এর মানে কি কে জানে? এটা ভয়ঙ্কর, এটা নিশ্চিত।’ নাসু টাউন ট্যুরিং ইনফরমেশন সেন্টার নিশ্চিত করেছে যে জাপানের রাজ্যে শত শত বছর পরে পাথরটিতে এই ফাটল দেখা দিয়েছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।