আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সংসদ ভেঙে দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের করা আবেদনে সই করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এর মধ্যে দিয়ে পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩ দিন আগেই দেশটির নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদ ভেঙে গেল। একইসঙ্গে পাকিস্তানের ফেডারেল কেবিনেটের কার্যকারিতাও শেষ হয়েছে। খবর ডন ও জিও নিউজ টিভির।
আজ (১০ আগস্ট) পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ভবন জানায়, প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি দেশটির সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর করা আবেদনটি অনুমোদন দিয়েছেন।
দেশটির সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী সুপারিশ করার পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রেসিডেন্ট জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিতে ব্যর্থ হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভেঙে যাবে।
এর আগে বুধবার রাতে শেহবাজ শরীফ প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির কাছে সংসদ ভেঙে দেওয়ার আবেদন করে চিঠি পাঠান। এরপর রাতেই প্রেসিডেন্ট ওই আবেদনে স্বাক্ষর করেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি গণমাধ্যম।
পাকিস্তানি গণমাধ্যম জানায়, সংসদ ভেঙে দিতে করা আবেদনের সারসংক্ষেপটি পার্লামেন্ট বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে। এর মধ্যে দিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নতুন তত্ত্বাবধায়ক গঠনের পথে এগিয়ে যাবেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একজনের নাম চূড়ান্ত করতে সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং জাতীয় পরিষদের বিরোধী দলীয় নেতার কাছে ৩ দিন সময় রয়েছে। এর মধ্যে তারা একমত হতে ব্যর্থ হলে বিষয়টি জাতীয় পরিষদের স্পিকার দ্বারা গঠিত একটি কমিটির কাছে পাঠানো হবে, যা ৩ দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি নাম চূড়ান্ত করবে।
তবে কমিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে মনোনীতদের নাম পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো হয়। এরপর কমিশনের কাছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ২ দিন সময় রয়েছে।
আগামী ১২ আগস্ট পাকিস্তানের বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় পরিষদের মেয়াদ পূর্ণ হলে ৬০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তবে মেয়াদ পূরণের আগেই জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হলে পাকিস্তানের সংবিধান অনুসারে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা আছে।
তবে গত সপ্তাহে কাউন্সিল অব কমন ইন্টারেস্টের এক বৈঠকে ২০২৩ সালের আদমশুমারির অনুমোদন দেওয়া হয়। এর ফলে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে। জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছর নভেম্বরে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে সামনের বছর অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এর আগে মঙ্গলবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, নির্ধারিত সময়ের ৩ দিন আগেই জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হবে। এরপর সংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মেনে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।