জুমবাংলা ডেস্ক: বিষমুক্ত সবজি চাষ নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করছেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের প্রায় ১০০ জন কৃষক। সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এবং রাসায়নিক সার ও রাসায়নিক বালাইনাশক ছাড়া সবজি আবাদ করছেন তারা। এতে সফলতার চমক দেখিয়েছেন কৃষকরা। ভেড়ামারার এ পদ্ধতিকে বিষমুক্ত সবজি চাষের ‘মডেল’ বলছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিজের বাঁধাকপি ক্ষেতে সেচ দিতে নালা কাটছেন কৃষক আমিরুল ইসলাম। অপরপাশে তার স্ত্রী সাজেদা বেগম ক্ষেতের মাটি আলগা আর ঘাস নিংড়ে দিচ্ছিলেন। এ দৃশ্য ভেড়ামারা জুনিয়াদহ ইউনিয়নের নোলুয়া গ্রামের ফসলি মাঠের। আমিরুল-সাজেদা দম্পতি প্রায় ১০ শতাংশ জমিতে বাঁধাকপি, পাঁচ শতাংশ জমিতে পটল চাষ করেছেন। এই সবজি ক্ষেতের বিশেষত্ব হলো এখানে রাসায়নিক সার ও রাসায়নিক বালাইনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে না। সম্পূর্ণ জৈবসার ও জৈব বালাইনাশক এবং ক্ষতিকর পোকা দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে হলুদ ফাঁদ পদ্ধতি।
একটু এগোতেই দেখা যায় একই গ্রামের কৃষক মো. নবীর উদ্দীনের বেগুন ক্ষেত। তিনি সবজি চাষ করছেন পলি মালচিং পদ্ধতিতে। সেখানেও পোকা দমনে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। শুধু বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের লক্ষে এসব চাষ পদ্ধতি প্রয়োগ করছেন কৃষকরা।
ভেড়ামারা কৃষি কর্মকর্তা শায়খুল ইসলাম বলেন, হলুদ ফাঁদ বা সেক্স ফেরোমন পদ্ধতি ব্যবহার করায় কৃষকের কীটনাশকের খরচ বেঁচে যাচ্ছে। উৎপাদন খরচ কমছে। মাটির গুণাগুণ ভালো থাকছে, উৎপাদিত হচ্ছে ভেড়ামারায় বিষমুক্ত সবজি। এছাড়া রবি মৌসুমে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শসা, বেগুন, লাউ, টমেটো, করলা ইত্যাদি ফসল কীভাবে নিরাপদ উপায়ে চাষাবাদ করা যায়, তা এখানে হাতে-কলমে দেখানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।