
জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন উৎসবমুখর করতে কমতি ছিল না প্রচারণা থেকে নিরাপত্তার। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া প্রচার-প্রচারণা ছিল জমজমাট। প্রার্থীদের আশা ছিল কেন্দ্রে দেখবেন ভোটারদের সারি।
কিন্তু তাদের কেন যেন হতাশ করলেন ভোটাররা। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের সকাল বেলাটা কেটেছে ভোটারের প্রতীক্ষায়।
এছাড়া নির্বাচনে মাঠে থাকার ঘোষণা দিলেও বহু কেন্দ্রে খোঁজ মেলেনি মাঠের বিরোধী দল বিএনপির প্রার্থীদের এজেন্ট। দেখা যায়নি সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের এজেন্টও। অবশ্য বিএনপির অভিযোগ, তাদের এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
শনিবার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে গুলশান-২ মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন ঢাকা উত্তরে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল। সঙ্গে ছিলেন বাবা আবদুল আউয়াল মিন্টু, মা নাছরিন আউয়ালসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।
এ সময় মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে তাবিথ আউয়ালের পরিবার ছাড়া অন্য কোনো ভোটার দেখা যায়নি।
উত্তরা হাইস্কুলে সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কোনো ভোটার আসেনি। কিছু এজেন্টকে দেখা গেছে। দক্ষিণ খান ৪৮নং ওয়ার্ড প্রাইমারি স্কুল কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র আই.ই.এস স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার ভোট দেওয়ার কথা। ভোট শুরুর প্রথম আধ ঘণ্টায় এই কেন্দ্রে একটি ভোটও পড়েনি। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে।
সিটি কলেজের ২৭০ কেন্দ্রে ৪নং মহিলা বুথে দুই ঘণ্টায় মাত্র ১টি ভোট পড়েছে। এ বুথে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৪৬। ওই সময়ের মধ্যে এ কেন্দ্রের কোনো বুথেই ৩টির বেশি ভোট পড়েনি।
রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে চারটি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। কেন্দ্রগুলো হলো ৩৬৬, ৩৬৭, ৩৬৮ ও ৩৬৯। এর মধ্যে ৩৬৮ নম্বর ভোট কেন্দ্রের ৩নং বুথে দেড় ঘণ্টায় ভোট দিয়েছেন ৪ জন। এ বুথে মোট ভোটার ৩৩৪ জন।
খোদ রাজধানীতে কেন ভোটার উপস্থিতির এমন হতশ্রী অবস্থা? প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা হারানোর শঙ্কার কথা বলে আসছিলেন বিশ্লেষকরা। হয়তো এবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ‘অপরিচিত’ ইলেকট্রনিক ভোটিং মিশন-ইভিএমে ভোট প্রদানের অনীহাও। সূত্র : দেশ রূপান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।