আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পদ ছাড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, অপমানিত বোধ করলেও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতেই হচ্ছে।
সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেই রাষ্ট্রপতির পদ ছাড়তে চান মো. সাহাবুদ্দিন। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) এ পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান অবস্থানে থাকতে তিনি আর আগ্রহী নন। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের বরাতে এ তথ্য জানা যায়।
রয়টার্সকে দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপ সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি বলেন, “আমি বিদায় নিতে আগ্রহী। আমি এখান থেকে চলে যেতে চাই। আমি এখন অপমানিত বোধ করছি। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমাকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব রয়েছে বলেই আমি এ অবস্থানে আছি।”
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সাহাবুদ্দিন দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হলেও, পদটি মূলত আনুষ্ঠানিক। কার্যনির্বাহী ক্ষমতা থাকে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের হাতে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের আন্দোলনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দিল্লিতে চলে যাওয়ার পর সাহাবুদ্দিনের অবস্থান আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর তিনি ছিলেন দেশের শেষ সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ।
৭৫ বছর বয়সী সাহাবুদ্দিন ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে নিজের অবস্থান নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, নির্বাচন শেষ হলেই তিনি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে চান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রায় সাত মাস হলো প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস তার সঙ্গে কোনো ধরনের সাক্ষাৎ করেননি; তার প্রেস ডিপার্টমেন্ট কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দেশের দূতাবাস থেকে নিজের ছবি সরিয়ে ফেলার কথাও বলেন তিনি।
‘সব কনস্যুলেট, দূতাবাস ও হাই কমিশনে রাষ্ট্রপতির ছবি ছিল। এগুলো হঠাৎ করে এক রাতের মধ্যে সরিয়ে ফেলা হয়।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এতে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যায়। মানুষজন ভাবতে পারে, রাষ্ট্রপতিকে হয়ত সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমি খুব অপমানিত বোধ করেছি।’
সাহাবুদ্দিনের ভাষ্য, তিনি ছবি সরিয়ে ফেলার বিষয়ে মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি লিখেছিলেন, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
রয়টার্স লিখেছে, রাষ্ট্রপতির এমন মন্তব্যের বিষয়ে তারা ইউনূসের প্রেস অফিসের কাছে বক্তব্য জানতে চেয়েছিল, কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া পায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



