জুমবাংলা ডেস্ক : উপজেলা পরিষদের ভোটের আগের দিন রাতে নোয়াখালী সুবর্ণচরে ভোটারদের মধ্যে টাকা বিলি করার সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যানপ্রার্থী আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরীর শ্বশুরসহ চারজন ব্যক্তিকে আটক করে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয়রা৷
আতাহার ইশরাক স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে৷ তিনি এবার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷
স্থানীয়দের অভিযোগ, চরবাটা কাজল মার্কেট এলাকায় ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে একটি কালো রঙের গাড়িতে করে অর্থবিলি করছেন আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরীর শ্বশুর শাহীন এবং এমপি একরামুলের এপিএস সুনীল বাবু৷ যে গাড়িটিসহ স্থানীয়রা তাদের আটক করে গাড়িটি ঢাকা মেট্রো-ঘ এবং গাড়ি নং ২১-৩২৮৯৷
কাজল মার্কেট থেকে তারা গাড়ি চালিয়ে সেন্টার বাজারে পৌঁছালে অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম সেলিমের সমর্থকরা গাড়িটি আবার আটকায়৷ এ সময়ে ঘটনার দৃশ্য ভিডিও করে ফেসবুকে প্রচার করেন এক ব্যক্তি৷
পরে এমপি একরামুলের অনুসারীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে খায়রুল আনম সেলিমের সমর্থকদের উপর হামলা করে আটককৃতদের উদ্ধার করে৷
এ সময়ে আতাহার ইসরাকের সমর্থক এবং খায়রুল আনম সেলিমের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে৷ এ ঘটনায় খায়রুল আনম সেলিমের তিন সমর্থক আহত হন৷ পরে ঘটনাস্থলে বিজিবি এবং পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়৷
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ এএইচ খায়রুল আনম সেলিম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্যে রাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে টাকা বিলি করার সময়ে স্থানীয়রা আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থীর শ্বশুর সহ কয়েকজনকে আটক করে৷ তারা কেউ এ এলাকার ভোটারও না৷ বহিরাগতরা আমার নির্বাচনী এলাকায় এসে টাকা বিলি করে ভোট কিনতে চাচ্ছে৷
এ বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান প্রার্থী আতহার ইশরাক সাবাব চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।