জুমবাংলা ডেস্ক : পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ভোট দিনে হলো, নাকি রাতে – তা দেশের ৮০ ভাগ মানুষ জানতে চায় না। কারণ এরা নিম্ন বা মধ্যম আয়ের মানুষ। এর চায় দেশের উন্নয়ন। এমনকি অধিকার আদায়ের আন্দোলনের চেয়েও উন্নয়নকে বেশি গুরুত্ব দেয় তারা।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। যুক্তরাজ্যভিত্তিক আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ এর আয়োজন করে।
‘ইমপ্যাক্ট ইভালুয়েশন অব দ্য ইসলামিক রিলিফ মডেল ফর এলিমিনেশন অব এক্সট্রিম পোভার্টি’ শীর্ষক সেমিনার তিনি বলেন, দেশে এখনো ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ দরিদ্র মানুষ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে দরিদ্রতা দূরীকরণে ইসলামিক রিলিফ ইইপি মডেল বড় ভূমিকা রেখেছে।
ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর তালহা জামালের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন এনজিও এফেয়ার্স ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান ও পরিচালক মোখলেছুর রহমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালমা আক্তার এবং ফিলিপাইনভিত্তিক স্বতন্ত্র মূল্যায়ন গবেষক দলের প্রধান ড. শ্যামল কৃমার সাহা।
প্রধান অতিথি এমএ মান্নান আরও বলেন, ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ কর্তৃক দরিদ্রতা দূরীকরণে মডেলটি সত্যিই প্রশংসনীয়। এরকম প্রকল্প বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আরও বেশি করে গ্রহণ করা প্রয়োজন।
স্বাগত বক্তব্যে তালহা জামাল বলেন, ইসলামিক রিলিফ দরিদ্রদের আয়বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণ দিয়েছে। সেই সঙ্গে প্রত্যেক পরিবারকে এককালীন ১২ হাজার টাকা অনুদান দেয়।
মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, জীবিকা উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মাতৃমৃত্যু দূরীকরণ বিষয়গুলোর প্রতিও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। সরকারের নানা উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাসমূহ কাজ করলে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়।
অধ্যাপক ড. সালমা আক্তার বলেন, এসডিজি গোল নিশ্চিত করতে টেকসই প্রকল্প প্রয়োজন। অনেক সময় জীবিকায়ন বৈষম্যের কারণে দরিদ্রতা বাড়ে।
পীরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু নাছের মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, এই সংস্থাটি দারিদ্র্য দূরীকরণে ইইপি মডেল বেশ কার্যকর ও ব্যতিক্রমধর্মী।
এই মডেল প্রকল্প থেকে সুবিধাপ্রাপ্ত কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা দীপ্ত মহিলা সমবায় সমিতির সভাপতি ফেরদৌসী বেগম বলেন, ইসলামিক রিলিফ থেকে সুবিধা পেয়ে আমার এখন ৩টি গরু, ৩টি ছাগল, হাঁস মুরগি পালন এবং ১৫ শতক জমি বন্ধক নিয়ে চাষাবাদ করছি। উপার্জিত অর্থ সংসারের উন্নয়ন ও সন্তানদের পড়াশোনায় ব্যবহার করি, ফলে পরিবার ও সমাজে আমার গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করছি, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও মতামত প্রদানে গুরুত্ব পাই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।