মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক নিয়ে সন্তুষ্ট নন ব্যবসায়ীরা। অতিরিক্ত শুল্ক ও কর প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন তারা। বিশেষ করে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, বেভারেজ ও বিস্কুটের উপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করাটা দরকার।
![VAT and customs duty](https://i0.wp.com/inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2025/02/nbr-20250123195903.jpg?resize=788%2C501&ssl=1)
তা না হলে তারা পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে দিবেন বলে জানিয়েছেন। ফুড ও বেভারেজ খাতের ব্যবসায়ীরা সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন। তার পূর্বে ব্যবসায়ীরা রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খানের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকার ফ্রুট ড্রিংস ও ফলের রসের উপর শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করেছেন।
তাছাড়া পূর্বে ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট ৫ শতাংশ ছিল। তা বাড়ির সাড়ে সাত শতাংশ পর্যন্ত করা হয়েছে। তারা বলেন, আগামী বাজেট পর্যন্ত সব ব্যবসায়ীদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান। এছাড়াও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এ সময় বাংলাদেশ অ্যাগ্রো অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সভাপতি এম এ হাসেম বলেন, আগামী সোমবার এনবিআরে ব্যবসায়ীদের অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণের পরিকল্পনা থাকলেও সেটি স্থগিত করেছেন তারা। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তিন-চার দিনের সময় চেয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এনবিআর কোনো ব্যবস্থা না নিলে পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য হবেন ব্যবসায়ীরা।’
এনবিআর ৯ জানুয়ারি শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করে। সেখানে মেশিনে উৎপাদন করা বিস্কুট, কেক, আচার, চাটনি, টমেটো পেস্ট, টমেটো কেচাপ, টমেটো সস, আম, আনারস, পেয়ারা, কলার পাল্প ইত্যাদি পণ্যের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।