ভ্যাট বৃদ্ধি করে দেওয়ার কারণে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়া শুরু করেছে। বিভিন্ন পণের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদেশ থেকে দেশে ফল আমদানি করা হতো সেখানেও দাম তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফল, জুস, পোশাক ও বিস্কুটের দাম আর আগের জায়গায় নেই।
এর ফলে কম আয়ের মানুষ বিপদে পড়েছে। বিনিয়োগে উৎসাহ কমছে এবং ব্যবসায় খারাপ প্রভাব তৈরি হয়েছে। অনেক ব্যবসায়ীরা সরকারকে ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয়টি আগের জায়গায় নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছে। করের আওতা যেন বৃদ্ধি করা হয় সে বিষয়ে মনোযোগী হচ্ছে তারা।
রাজধানীর কাওরান বাজারে তুলনামূলকভাবে কম দামে ফল পাওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ সেখানে যেত। কিন্তু এখন অনেকেই সেখানে না গিয়ে ফুটপাত থেকে ফল কিনতে আগ্রহী হচ্ছে। সাধারণ চাকরি করা এক কর্মী ইমরান খান এ কথা জানিয়েছে।
সরকার ফলের জুসের উপর ৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করেছে। তাছাড়া বিস্কুট, কেক, টিস্যু, টমেটো ইত্যাদির ওপর ১০% পণ্য বৃদ্ধি করেছে। জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের যেসব পোশাক মানুষ পড়ে থাকে সেখানে বর্তমানে দশ শতাংশ ভ্যাট দিতে হচ্ছে। তার ফলে পন্যের দাম তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে গেছে।
তবে যতোটা কমের জন্য এসেছিলেন, তা পাচ্ছেন না ইমরান। সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে ৩০ শতাংশ হওয়ায়, বেড়ে গেছে আমদানি করা ফলের দাম। এতে বিক্রিও কমেছে।
ইমরান বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হলো এখন তো দেশের সরকার কোনো কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।’একজন বিক্রেতা বলেন, ‘দামটা বাড়তি কাস্টমারও অনেক কম। কিনতে আসলেও কিনতে পারছে না। অনেকেই শখ করে আসে যে আধা কেজি আঙুর নেবে, দেখা যাচ্ছে যে এটার দাম ২০০ টাকার ওপরে।’
বাড়তি শুল্কের কারণে সিগারেটের দামও বেড়েছে। বিপণন প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, এতে নকল পণ্যে সয়লাব হতে পারে বাজার, প্রতারিত হবেন ভোক্তারা।
বিএটির এরিয়া হেড অফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স সাবাব আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘যে দিচ্ছে তার কাছ থেকে আর বেশি না নিক, কিন্তু যদি ট্যাক্সনেটটা বাড়ানো যায়। আমার কাছে মনে হয়েছে একটু যদি ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে আলাপ করত, একটু যদি আমাদের সাথে আলাপ করত, আমরা বলতে পারতাম কিভাবে নিজেদের ওপর স্ট্রেস নিয়েও কিভাবে বাড়াতে পারি, ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে নিজেদের ক্ষতি না করে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।