জুমবাংলা ডেস্ক : মাদারীপুরের রাজৈরে ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মাত্র পাঁচ হাজার টাকা পেয়েই ভ্যানচালক মোতাহার দর্জিকে হত্যার মিশনে নামেন সাত কিলার।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান এসপি গোলাম মোস্তফা রাসেল।
নিহত মোতাহার রাজৈর উপজেলার মজুমদারকান্দি গ্রামের কালু দর্জির ছেলে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে এসপি গোলাম মোস্তফা জানান, ২৩ মে বাড়ির পাশে মসজিদে নামাজ শেষে ফিরছিলেন মোতাহার। এ সময় আসামিরা তাকে পেছন থেকে মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর অন্যান্য আসামিরা তার শরীরে আঘাত-শ্বাসরোধসহ নৃশংসভাবে হত্যা করে একটি পাটক্ষেতে ফেলে রাখেন। এ ঘটনায় ২৫ মে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের স্ত্রী সামলা বেগম।
মামলার পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মো. ইলিয়াস মোল্লাকে গ্রেফতার করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. সাব্বির শেখ। তিনি মজুমদারকান্দি গ্রামের নেছার উদ্দিন মোল্লার ছেলে।
গ্রেফতার ইলিয়াস আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তার দেয়া তথ্যমতে ৯ জুন রাতে একই গ্রাম থেকে রোকন মোল্লার ছেলে আনোয়ার মোল্লা, মো. জেলেম মোল্লার ছেলে মহিদুল মোল্লা ও বাসাবাড়ি গ্রামের আক্কাস ফরাজীর ছেলে এমারত ফরাজীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এসপি বলেন, জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নিহত মোতাহার দর্জির সঙ্গে আসামি এমারত ফরাজীর বিরোধ চলছিল। এরই জেরে মোতাহার দর্জিকে হত্যার জন্য অন্য আসামিদের সঙ্গে দুই লাখ টাকার চুক্তি করেন এমারত ফরাজী। এর মধ্যে অগ্রিম পাঁচ হাজার টাকা দেয়া হয়। হত্যার পর আরো ২০ হাজার টাকা দেন। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন সাতজন। এরই মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।