আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একদিকে চূড়ান্ত কর্মব্যস্ততা অন্যদিকে পরিণয়ের হাতছানি। এই টানাপোড়েনের মধ্যে চার হাত এক হওয়ার ফুরসত মিলছিল না। শেষমেষ পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হওয়ার দিন বের করে নিলেন ওজনদার দম্পতি। শুভ পরিণয়ে আবদ্ধ হওয়ার জন্য ভ্যালেন্টাইন্স ডে-কেই বেছে নিলেন এই দম্পতি।
একজন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উলুবেড়িয়ার জেলা শাসক তুষার সিংলা এবং অপরজন বিহারের পাটনার ডেপুটি পুলিশ সুপার নভজ্যোত্ সিমি। তবে সময়ের অপচয় এড়াতে মহকুমা শাসকের উলুবেড়িয়ার চেম্বারেই একেবারে অনাড়ম্বরভাবে আইনি বিবাহ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করলেন এই দুই কর্মকর্তা। উভয়েই পাঞ্জাবের বাসিন্দা।
২০১৫ সালের ব্যাচের পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডেটের আইএএস তুষার সিংলার বাড়ি পাঞ্জাবের বানালায়। তার বাবা নেই। উলুবেড়িয়া জেলাশাসকের বাংলোয় তিনি ও তার মা থাকেন। অপরদিকে ২০১৮ সালের ব্যাচের বিহার ক্যাডেটের আইপিএস নভজ্যোত্ সিমি পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরের বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে পাটনায় ডিএসপি (প্রশিক্ষণ)-এর দায়িত্বে রয়েছেন।
বিয়ের রীতি সম্পন্ন করতে বিহার থেকে আগেই এ রাজ্যে উপস্থিত হয়েছিলেন নভজ্যোত্ সানা। পরিবারের লোকজন উলুবেড়িয়ায় আসেন পরে। তারা ছাড়াও শুক্রবার এই দুই কর্মকর্তার শুভ পরিণয়ের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার সাক্ষী থাকেন উলুবেড়িয়া মহকুমা শাসকের দফতরের কর্মীরা। এদিন এই দুই কর্মকর্তার বিবাহের এনগেজমেন্ট সম্পন্ন হলেও পরে সময় বুঝে রিসেপশন হবে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, এক বছর আগে দু’জনের প্রথম পরিচয়। সেখান থেকেই প্রণয়ের সূত্রপাত। একে অপরকে জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নিতেও দ্বিধাবোধ করেননি এই দুই দাপুটে কর্মকর্তা। কিন্তু নানা কারণে নিজেদের বিবাহের দিনক্ষণ ঠিক করে উঠতে পারেননি কেউই। অত্যন্ত বিনয়ী, সদাহাস্যময় এবং সুদক্ষ আইএএস কর্মকর্তা হিসাবে নিজেকে আগেই প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তুষার সিংলা। এবার নিজের চেম্বারে বসে প্রেমিকা নভজ্যোত্ সিমির সঙ্গে বাগদান পর্বটি সম্পন্ন করার মধ্যে দিয়ে তিনি এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।