Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home ভয়াল-ভয়ঙ্কর যত ঘূর্ণিঝড়
    জাতীয়

    ভয়াল-ভয়ঙ্কর যত ঘূর্ণিঝড়

    Zoombangla News DeskMay 4, 2019Updated:May 9, 20198 Mins Read
    Advertisement

    সাজানো গোছানো পৃথিবীকে ল-ভ- করতে একটি বড় মাপের ঘূর্ণিঝড়ই যথেষ্ট। এমন একেকটি ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে মিশে থাকে হাজারো ধ্বংস, প্রাণক্ষয় আর আর্থিক লোকসান। তাই এ দুর্যোগ কারও কাম্য হতে পারে না। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে প্রায়ই নানা নামের ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশ একযোগে ভুগছে ঘূর্ণিঝড় ফণী আতঙ্কে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ২১০ কিলোমিটার বেগে ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যে আঘাত হেনেছে ফণী। উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড় বর্তমানে আমাদের দেশ থেকে প্রায় সাত শত কিলোমিটার দূরে প্রবল আঘাত হানলেও রাজধানী ঢাকায় এর প্রভাব পড়তে সময় লাগে মাত্র ১০ মিনিট। ঢাকায় প্রবলধারায় ঝরতে শুরু করে বৃষ্টি। আশঙ্কা করা হচ্ছে বাংলাদেশে যখন ফণী প্রবেশ করবে তখন এর গতি অর্ধেকে নেমে ৮০-১০০ কিলোমিটার হবে। ধীরে ধীরে ফণী স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে চলে যাবে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ের দিকে। তবে এর প্রভাবে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সারা দিন বৃষ্টি থাকবে। ফণীর প্রভাবে নদী ও সাগরের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডুবে গেছে অনেক অঞ্চল। এই ঝড়ে আমাদের দেশে সম্পদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিগত সময়ে আঘাত হানা দুনিয়া কাঁপানো এমন ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আজকের রকমারি আয়োজন।

    ঝড়ের নামকরণ হয় যেভাবে
    ঘূর্ণিপাকের ঝড়গুলোর বৈশিষ্ট্য এক হলেও অঞ্চলভেদে তাদের ডাকা হয় ভিন্ন নামে। ভারতের মহাসাগরীয় অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়কে বলা হয় ‘সাইক্লোন’। কলকাতায় চাকরি করার সময় এক ইংরেজ প্রাক্তন জাহাজি হেনরি পিডিংটন এ অঞ্চলের ঝড়ের দানবাকৃতি দেখে গ্রিক শব্দ কাইক্লোস (অর্থ সাপের কুন্ডলী) থেকে সাইক্লোন নামের প্রস্তাব করেন। ১৯৪৮ সালে নাবিকদের জন্য তার লেখা সেইলার্স হর্ন বুক ফর দ্য ল অব স্টর্মসে প্রথম সাইক্লোন শব্দটি ব্যবহার করা হয়। আটলান্টিক মহাসাগরীয় এলাকায় এই একই ঘূর্ণিঝড়কে আবার ‘হারিকেন’ বলা হয়। এর গতি ঘণ্টায় ৭৪ মাইলের বেশি থাকে। অন্যদিকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার ঘূর্ণিঝড়কে ‘টাইফুন’ বলে। তবে যে নামেই ঘূর্ণিঝড়গুলোকে ডাকা হোক না কেন, একেক সময় তা একেক নামে হাজির হয়। এই নামগুলো কীভাবে নির্ধারণ হয় তা নিয়ে প্রশ্ন জাগতে পারে যে কারও। অতীতে ঝড়ের নামকরণ করা হতো অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু এই নাম প্রকাশের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেয়। যেমন-৮ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ঝড় ধেয়ে আসছে বললে সাধারণের কাছে কেমন যেন দুর্বোধ্য ঠেকবে। বিভিন্ন অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে জটিল, তাত্ত্বিক নামের চেয়ে সংক্ষিপ্ত ও সুনির্দিষ্ট নামকরণ লিখিত বা মৌখিক যে কোনো যোগাযোগের বেশি সহজ এবং দ্রুততর হয়। ঠিক তেমনি মহাসেন আসছে বলাটা সবার জন্য সহজবোধ্য হয়। এ ছাড়াও আবহাওয়া স্টেশনগুলো থেকে সংগৃহীত ঝড়ের তথ্য সবাইকে জানানো, সমুদ্র উপকূলে সবাইকে সতর্ক করা, বিভিন্ন সংকেত এবং জলযানগুলোর জন্য ঝড়ের খবর খুব সহজভাবে আদান-প্রদান করার জন্যই মূলত ঝড়ের নামকরণ করা হয়ে থাকে। এই প্রয়োজন থেকে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আঞ্চলিক কমিটি পরবর্তীতে আগত ঘূর্ণিঝড়ের নাম নির্ধারণ করে থাকে। উত্তর ভারত মহাসাগরীয় এলাকার পূর্বাভাসের দায়িত্বে রয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ। ঠিক তেমনি উত্তর আটলান্টিক বেসিনে পূর্বাভাসের দায়িত্বে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হেরিকেন সেন্টার।

    বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং ওমান নিয়ে গঠিত বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আঞ্চলিক প্যানেল এস্কেপ। ২০০০ সালে এস্কেপের প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতিটি দেশ থেকে ১০টি করে নাম জমা নেওয়া হয়। এখান থেকেই পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করা হয়। তিতলির পর আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়গুলোর নাম হবে দাস, ফেথাই, ফণী, বায়ু, হিকা, কায়ের, মহা, বুলবুল, সোবা ও আমপান। বিভিন্ন দেশ তাদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী নাম দিয়ে থাকে তাই এখানকার ঝড়ের নামে কোনো বর্ণ ক্রম বা সামঞ্জস্য থাকে না। একেকটি ঝড় বাস্তবে সৃষ্টি হলে তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে নাম নির্বাচন করা হয়। ঝড় যেহেতু মৃত্যু ও ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত তাই কোনো নাম পুনরাবৃত্তি করা হয় না। শত শত বছর ধরে ঝড়গুলোকে নিজেদের মতো করে দেওয়া হতো। এখন অবশ্য সব ঝড়কে স্থানীয় সাধারণ নাম দিয়ে ডাকা হয় যা সংস্কৃতিগত দিক থেকে স্পর্শকাতর নয়।

    দেশে আঘাত হানা বড় ঘূর্ণিঝড়

    ঘূর্ণিঝড় মোরা

    কক্সবাজার উপকূল বিধ্বস্ত হয় ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে। ২০১৭ সালের ৩০ মে আঘাত হানা এই ঘূর্ণিঝড়ে ৫৪ হাজার ৪৮৯টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, মারা যায় আটজন, ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে যাওয়া, গাছপালা উপড়ে পড়া, খেতখামার নষ্ট হওয়া, বাঁধ ভেঙে বন্যার সৃষ্টি হওয়াসহ ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় কয়েক কোটি টাকায়।

    ঘূর্ণিঝড় মহাসেন

    ২০১৩ সালের মে মাসের শুরুর দিকে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণাংশে নিম্নচাপজনিত কারণে উৎপত্তি ঘটে মহাসেনের। ১৪ মে এটি উত্তর-পূর্বাংশের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কার্যত জনজীবন অচল হয়ে পড়ে।

    ঘূর্ণিঝড় আইলা

    ২০০৯ সালে ২৫ মে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশ ও ভারতের দক্ষিণ-পূর্বাংশে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আইলা। এতে ভোলার ৩০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়, জলোচ্ছ্বাস হয় ৬-৭ ফুট উচ্চতায়, কয়েকশ মাছের ঘের ভেসে যায়, কয়েক হাজার হেক্টর ফসল নষ্ট হয়, প্রাণ হারান ১৮ জন মানুষ। বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ জনপদ।

    ঘূর্ণিঝড় সিডর

    বাংলাদেশের ইতিহাসে ভয়ালতম প্রাকৃতিক ধ্বংসলীলা ঘটে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর। এদিন সিডর নামের ঘূর্ণিঝড়টি দেশের উপকূলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলের ৩০টি জেলায় আঘাত হানে। বেসরকারি মতে প্রায় ২০ লাখ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

    এতে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়। সরকারিভাবে ৩ হাজার ১৯৯ জনের মৃত্যু ও ১ হাজার ৭২৬ জনের নিখোঁজ হওয়ার কথা জানানো হয়। ধারণা করা হয় সিডরে বয়ে আনা জলোচ্ছ্বাসে তাদের ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।

    ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়

    ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলে দক্ষিণ-পূর্ব চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলে আঘাত হানে লাখো প্রাণঘাতী এক ঘূর্ণিঝড়। এই ঘূর্ণিঝড়ে সৃষ্ট ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস কেড়ে নেয় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের জীবন। এ ছাড়া প্রায় ১ কোটি মানুষ সর্বস্ব হারায়। সে সময় প্রায় ১০ লাখ ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধারণা করা হয় এই ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়।

    বাকেরগঞ্জ ঘূর্ণিঝড়

    প্রাণহানি ও ভয়ংকরের দিক থেকে পৃথিবীর ঘূর্ণিঝড়ের ইতিহাসে ষষ্ঠ স্থান দখল করে আছে বাকেরগঞ্জ ঘূর্ণিঝড়। ১৮৭৬ সালের ৩১ অক্টোবর বাকেরগঞ্জের উপকূলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এই ঘূর্ণিঝড় ‘দ্য গ্রেট বাকেরগঞ্জ ১৮৭৬’ নামেও পরিচিত। ঘূর্ণিঝড়ে বাকেরগঞ্জের নিম্নাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে প্লাবিত হয়ে যায়। আনুমানিক ২ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে এই ঘূর্ণিঝড়ে। পরবর্তী সময়ে আরও বেশি মানুষ মারা যায় দুর্যোগ পরবর্তী মহামারী এবং দুর্ভিক্ষে।

    বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়

    হারিকেন মাইকেল

    যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূলে ১০ অক্টোবর আছড়ে পড়ে হারিকেন মাইকেল। হারিকেনের তীব্রতা মাপা স্কেলে এর চাপ পৌঁছায় ৯১৯ মিলিবারে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একশ বছরের মধ্যে এটিই হবে সবচেয়ে ভয়াবহ ঝড়। ঘণ্টায় প্রায় ২৫০ কিলোমিটার বেগের বাতাস নিয়ে চার মাত্রার এই হারিকেন মাইকেল বয়ে যায়। চলতি এই ঝড়ে ৩ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। খবরে দুজনের মৃত্যুর সংবাদ মিলেছে। ক্যারিবিয়ান সাগরে সৃষ্ট হারিকেন মাইকেলের তা-বে ল-ভ- হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ফ্লোরিডা। গাছপালা-বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে, তছনছ হয়েছে অনেক বসতবাড়ি। হারিকেনটির তা-বের পর সৈকতবর্তী শহরগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জরুরি সেবা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফ্লোরিডা, অ্যালাবামা ও জর্জিয়ায় লাখ লাখ লোক বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে।

    টাইফুন জেবি, জাপান

    জাপানের উপকূলে আঘাত হানা টাইফুন ‘জেবিকে ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর বয়ে যাওয়া এই ঝড়ে প্রাণ হারান ১০ জন। এ ছাড়াও অন্তত ৩০০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জেবির আঘাতে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে বন্যা ও ভূমিধসেরও সৃষ্টি হয়। ঝড়ের কারণে সীমিত করা হয় টোকিও থেকে ওসাকার মধ্যকার ট্রেন সার্ভিস। আর বাতিল করা হয় প্রায় ৫০০ ফ্লাইট।

    টাইফুন মাংখুট, হংকং

    ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে ধ্বংসলীলা চালানোর পর টাইফুন মাংখুট আঘাত হানে চীনের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ গুয়াংডংয়ে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি ঘটে যাওয়া এই ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। মাংখুটের আঘাতে ফিলিপাইনে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৯ জন। বেশিরভাগই মারা যায় ভূমিধসে চাপা পড়ে। মাংখুটকে ২০১৮ সালে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।

    টাইফুন নিনা, চীন

    যদিও চীনে টাইফুন বা ঘূর্ণিঝড় খুবই স্বাভাবিক ঘটনা, তবুও ১৯৭৫ সালের ৩১ জুলাই চীনের হেনান প্রদেশে টাইফুন নিনার ভয়াবহতা সব ঝড়কে পেছনে ফেলে দেয়। ভয়াবহ ওই ঝড়ে বন্যা ও আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে প্রাণ হারায় ২ লাখ ৩১ হাজার মানুষ, ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ। এই ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২২২ কিলোমিটার। বৃষ্টিপাত হয় ৭০০ মিলিমিটার। এতে ৩ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। আর্থিক ক্ষতি নির্ধারণ করা হয় ১.২ বিলিয়নের উপরে।

    হারিকেন ইরমা, ফ্লোরিডা

    ২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ক্যাটাগরি ৫ মাত্রার ঝড় ছিল হারিকেন ইরমা। ৩০০ কি.মি. বেগের এই ঝড়ে নিহত হয় ২৮ জন। বারমুডা পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ৪ লাখ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। বন্যায় প্লাবিত হয় ফ্লোরিডার বিশাল অঞ্চল।

    নামকরণ কেন নারীর নামে

    বেশির ভাগ ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয় নারীর নামে। যেমন- নার্গিস, বিজলী, রেশমি, ক্যাটরিনা। মনে হতেই পারে, তা-বলীলা কি শুধু মেয়েরা ঘটায়? নাকি যত ক্ষতির দায় সব মেয়েদের নামে চাপানোর চেষ্টা? ১৯ শতকের মাঝামাঝি এই প্রবণতা বেশি দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়াবিদদের মাঝে। তারা গ্রীষ্মম-লীয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম শুধু মেয়েদের নামে দিচ্ছিলেন। তখন নারীবাদীদের তুমুল সমালোচনার মুখে বর্ণমালার ক্রমিক অনুযায়ী ঝড়ের নাম দেওয়া শুরু হয়। এরপর ১৯ শতকের শেষের দিকে দক্ষিণ গোলার্ধের আবহাওয়াবিদরা পুরুষের নাম দেওয়া শুরু করেন। এ ছাড়াও ইতিহাস বলে আমাদের অঞ্চলে প্রথম ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়েছিল প্রায় ৩০০ বছর আগে শ্রীলঙ্কার মহাপরাক্রমশালী রাজা মহাসেনের নামে। এরপরে ঝড়ের নাম হিসেবে নারীদের নামকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তবে পরবর্তীতে আবারও পুরুষের নাম সংযোজিত হতে থাকে। অবশ্য বর্তমানে বস্তু বা অন্য বিষয়ের নাম অবস্থাভেদে টেনে আনা হয়েছে। যেমন- সিডর, মেঘ, বায়ু, সাগর ইত্যাদি। উত্তর ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট সব ঝড়ের নামকরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দেওয়া নামগুলো হলো- অনিল, অগ্নি, নিশা, গিরি, হেলেন, চপলা, অক্ষি, ফণী।

    ঘূর্ণিঝড় তিতলি

    ২০১৮ সালে উত্তর ভারত মহাসাগরে সৃষ্টি হওয়া প্রথম ঘূর্ণিঝড় তিতলি। তিতলির অর্থ প্রজাপতি। ক্রান্তীয় সাইক্লোন তিতলির নাম দিয়েছে পাকিস্তান। এটি আঘাত হানে ১১ অক্টোবর ভারতের উড়িষ্যা ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে। তিতলির গতিবেগ ছিল ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত। অন্ধ্রপ্রদেশে প্রলয়কা- চালিয়ে উত্তরের দিকে এসে উড়িষ্যার গানজাম জেলায় আছড়ে পড়ার পর এর তীব্রতা কিছুটা কমে যায়। তখন এর গতিবেগ ছিল ১০২ কিলোমিটার। অন্ধের শ্রীকাকুলাম ভিজিয়ানাগারাম জেলায় ঘূর্ণিঝড় তিতলির আঘাতে আটজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও প্রদেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নিখোঁজ হন অনেকে। ঘূর্ণিঝড় তিতলির কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, খুলনা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালীসহ বেশ কয়েকটি জেলায় দুর্যোগকালীন প্রস্তুতি রাখা হয়। কক্সবাজার শাহ পরীর দ্বীপে ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়। দ্বীপের বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে যায়। এই ঝড়ে বিনষ্ট হয় আমন ফসল ও শীতকালীন সবজির আবাদ। শক্তিশালী এই ঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশ জুড়ে বৃষ্টিপাত হয়। নদীবন্দরে রাখা হয় তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় ‘ঘূর্ণিঝড় দুর্যোগ ভয়াল-ভয়ঙ্কর যত
    Related Posts
    ABM-Khayrul

    কারাগারে হার্ট অ্যাটাক করেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক

    August 26, 2025
    Advisor Farida

    ইলিশ মাছের দাম নিয়ে সুখবর দিলেন উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার

    August 26, 2025
    Asif Nazrul

    ‘এক টাকা অনুদান না পেলেও আমরা বসে থাকব না’

    August 25, 2025
    সর্বশেষ খবর
    বিয়ের ১২ দিন পর

    বিয়ের ১২ দিন পর স্বামী জানলেন, ‘স্ত্রী’ আসলে পুরুষ

    হানিমুন

    কম বাজেটে হানিমুনের জায়গা: প্রেমের নতুন অভিজ্ঞতা

    Cryptocurrency Tax Software

    সহজ ভাষায় ইনকাম ট্যাক্স ফাইল করার সহজ কৌশল

    Ted Scott nephew

    Tour Championship Yellow Ribbons Honor Caddie Ted Scott’s Nephew

    Google Pixel Tablet

    Google Halts Pixel Tablet Development, Ceding Market to Samsung’s Galaxy Tabs

    university of arkansas active shooter today

    Active Shooter Alert at University of Arkansas Today: No Confirmed Threat, Campus Secured

    Kusum Sikder

    হলুদ শাড়িতে মুগ্ধতা ছড়ালেন অভিনেত্রী কুসুম শিকদার

    Best Language Learning Apps 2025: Top Picks for Fast Fluency

    Best Language Learning Apps 2025: Top Picks for Fast Fluency

    JoJo Siwa: The Bow-Bedecked Dynamo Energizing a Generation

    JoJo Siwa: The Bow-Bedecked Dynamo Energizing a Generation

    Guess Watches: A Leader in Fashion Timepiece Innovation

    Guess Watches: A Leader in Fashion Timepiece Innovation

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.