স্পোর্টস ডেস্ক : অবশেষে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা জুটি ভাঙতে পারলেন পেসার শরিফুল ইসলাম। টেম্বা বাভুমা আর রাশি ফন ডার ডুসেন মিলে বিপর্যয় কাটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের রাস্তায় তুলে দিতে যাচ্ছিলেন। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরও যখন এই জুটি ভাঙা যাচ্ছিল না, অবশেষে শরিফুল এসে ভাঙলেন জুটিটি।
৩৬ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর ৮৫ রানের জুটি গড়েছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা এবং রাশি ফন ডার ডুসেন। অবশেষে ২৭তম ওভারে নিজের ৬ষ্ঠ ওভার বল করতে এসে উইকেট নিলেন শরিফুল। তার বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।
এ রিপোর্ট লেখার সময় দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ২৭.২ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান। ৬৫ রান নিয়ে রাশি ফন ডার ডুসেন এবং ১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন ডেভিড মিলার।
তাসকিনের এক ওভারে কাঁপন ধরে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপে। টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ৩৬ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর অবশ্য এখন ম্যাচে ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ব্যাটার টেম্বা বাভুমা এবং রাশি ফন ডার ডুসেন।
দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর প্রোটিয়ারা প্রথমে নজর দিয়েছিল উইকেট ধরে রাখার দিকে। অধিনায়ক বাভুমা এবং অভিজ্ঞ ব্যাটার রাশি ফন ডার ডুসেন প্রাথমিক চেষ্টায় সফল হওয়ার পর এখন রানের গতি বাড়ানোর দিকেও নজর দিচ্ছেন তারা।
শরিফুলের বোলিং তোপের পরপরই বোলিং আক্রমণে নিয়ে আসা হয় ডান-হাতি পেসার তাসকিন আহমেদকে। সাফল্য এনে দিতে খুব বেশি সময় নেননি তিনি। একই ওভারে পরপর প্রোটিয়াদের টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দিলেন তিনি।
শরিফুলের বলে ১৮ রানের মাথায় পড়ে প্রোটিয়াদের প্রথম উইকেট। তাসকিনের বলে ৩৬ রানের মাথায় পড়লো দ্বিতীয় উইকেট। ৮ম ওভারের ১ম বলে উইকেট পড়ার পর চতুর্থ বলে পড়লো আরো এক উইকেট। এবার প্রোটিয়াদের নির্ভরযোগ্য ব্যাটার এইডেন মারক্রামকে মিরাজের ক্যাচে পরিণত করলেন তাসকিন।
ব্যক্তিগত ২১ রানে তাসকিনের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন অপর ওপেনার কাইল ভেরাইনি। তাসকিনের ওভারের প্রথম বলে রিভিউ নেয়ারও সুযোগ পেলেন না তিনি। আম্পায়ার আঙ্গুল তুলতেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। ওভারের ৪র্থ বলটি ছিল ফুলার লেন্থ। ক্যাচ ওঠে পয়েন্টের কাছে। মিরাজ খুব সহজেই সেটিকে তালুবন্দী করলেন।
৩১৫ রানের বিশাল লক্ষ্য। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা ঘরের মাঠে সব সময়ই শক্তিশালী। কিন্তু উল্টোদিকে ওয়ানডে ফরম্যাটটা বাংলাদেশ ভালো খেলে এবং এই ফরম্যাটে প্রোটিয়াদের হারানোর বেশ কয়েকবারের অভিজ্ঞতাও আছে টাইগারদের।
সে কারণেই সাকিব-তামিমরা বলে আসছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় অন্তত একটি জয় চাই। সে লক্ষ্যে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ব্যাটাররা নিজেদের কাজটি করে দিয়েছেন। এবার বোলারদের হাতে ম্যাচ। নিজেদের প্রমাণ করার পালা।
সে লক্ষ্যেও দারুণ শুরু হলো বাংলাদেশের। চতুর্থ ওভারেই প্রোটিয়া ওপেনার জানেমান মালানের উইকেট তুলে নিলেন বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। তার বলে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন মালান। দুর্দান্ত ক্যাচটি তালুবন্দী করেন মুশফিকুর রহিম।
প্রায় মাটিতে লাগতে যাওয়া বলটি এক ঝলকে গ্লাভসে তুলেন টাইগার উইকেটরক্ষক। দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসে প্রথম আঘাত আসলো দলীয় ১৮ রানের মাথায়।
আম্পায়ারও অবশ্য নিশ্চিত ছিলেন না ক্যাচের ব্যাপারে। সফট সিগন্যাল ‘নটআউট’ দিয়ে থার্ড আম্পায়ারের কাছে পাঠালেন। তাতে দেখা গেলো বল ব্যাটে লেগেছে, ক্যাচও পরিষ্কারভাবেই গ্লাভসবন্দী করেছেন মুশফিক।
এর আগে টপ অর্ডারের বুদ্ধিদীপ্ত আর হিসেবি ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দিবারাত্রির প্রথম ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে ৩১৪ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।