হবিগঞ্জের বাহুবলে জমিতে হাঁসের ধান খাওয়া নিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের ভয়াবহ সংঘর্ষে ১৯ পুলিশসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। বুধবার (২৭ মে) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দুই ঘন্টাব্যাপী চলে এ সংঘর্ষ।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১১৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৫৩ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের ৪৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার অলুয়া গ্রামের মর্তুজ আলীর ধানের জমিতে সকালে একদল হাঁস উঠে ফসল নষ্ট করে। এ নিয়ে হাঁসের মালিক ভেড়াখাল গ্রামের আমান উল্লার সাথে মর্তুজ আলীর বাকবিতণ্ডা থেকে চ্যালেঞ্জ পাল্টা চ্যালেঞ্জের ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে আলুয়া ও ভেড়াখাল গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে বাহুবল-নবীগঞ্জ সার্কেলের এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরীর নেতৃতে বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, ওসি (তদন্ত) আলমগীর কবিরসহ একদল দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। দীর্ঘ চেষ্টার পর ১১৫ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৫৩ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ২ ঘন্টাব্যাপী স্থায়ী সংঘর্ষে বাহুবল থানার দুই এসআইসহ ১৯ পুলিশ আহত হন।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত এসআই শহীদুল ইসলামকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আহত এসআই শাহ আলীসহ অন্যান্য আহতদের বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া পুলিশ এসল্ট মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যারা এ দাঙ্গার সাথে জড়িত ছিলেন তাদের সবাইকে গ্রেফতার করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।