জুমবাংলা ডেস্ক : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে নির্যাতিতার পরিবারকে বাড়িঘর দখল ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন নির্যাতিতার পরিবার।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, তিন সন্তানের জননী ওই গৃহবধূ বিয়ের পর স্বামীকে নিয়ে উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নে বাবার বাড়িতেই থাকতেন। দীর্ঘদিন আগে ওই এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি আবদুল খালিছ তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় গত ৩ এপ্রিল রাতে গৃহবধূকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন খালিছ।
বিষয়টি লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে না জানালে আবদুল খালিছ আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। তিনি কৌশলে ওই গৃহবধূর ঘরে ঢুকে তাদের ভোটার আইডি কার্ড, বিয়ের কাবিননামা, জমির কাগজপত্র এবং নগদ ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। পরে ব্ল্যাকমেইল করে ওই গৃহবধুকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। গত ৯ অক্টোবর রাতে ঘরে ঢুকে স্বামী সন্তানদের এক ঘরে আটকে রেখে ওই গৃহবধূকে আবারও ধর্ষণ করেন খালিছ।
ওই ঘটনায় জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। কিন্তু ঘটনাস্থল নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) হওয়ায় পুলিশের পরামর্শে হবিগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবার।
গৃহবধূর মা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শরিফুল বেগম বলেন, ‘আব্দুল খালিছের ৫ সন্তান রয়েছে। সে লম্পট ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তার ভয়ে কেউ কথা বলে না। আমার মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলা দায়েরের পর থেকে খালিছ বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি ও বাড়িঘর জোরপূর্বক দখল করে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।’
পাইলগাঁও ইউনিয়নের সদস্য আব্দুল মালেক বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। তবে অভিযুক্ত আবদুল খালিছকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’ এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।