মঙ্গল এবং বৃহস্পতির মাঝের সুপার-আর্থ পৃথিবীর ধ্বংস ডেকে আনতে পারে!

সুপার আর্থ

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী সৌরজগতের গ্রহের গঠন নিয়ে গভীর দৃষ্টিকোণ থেকে কাজ করে। সেক্ষেত্রে তারা কম্পিউটারে নতুন গ্রহের সিমুলেশন তৈরি করেছে। গ্যাস জায়ান্ট এবং পাথুরে গ্রহের মধ্যে কোন বড় পার্থক্য আছে কিনা সেটা জানার চেষ্টা করেছেন বিজ্ঞানীরা।

সুপার আর্থ

মঙ্গল এবং বৃহস্পতির মধ্যে কেন এত বড় ব্যবধান রয়েছে সেটি নিয়ে কাজ করছে বিজ্ঞানীরা। সিমুলেশন এ দেখা যায় যে, মঙ্গল এবং বৃহস্পতির মধ্যে যদি কোন গ্রহ থাকে তাহলে তা পুরো কক্ষপথকে অস্থিরিশীল করে দিতে সক্ষম।

জুপিটার গ্রহের সাইজ অনেক বড় এবং নতুন গ্রহ দ্বারা এটি অস্থিতিশীল হয়ে গেলে সৌরজগতের সকল গ্রহের জন্যই বিপর্যয় নিয়ে আসবে। বিজ্ঞানীরা আরও জানতে পেরেছে যে, যদি সুপার আর্থ টাইপের কোনো নতুন গ্রহ সৌরজগতে যুক্ত হয় তাহলে কক্ষপথ বেশ অস্থিতিশীল হয়ে যাবে। এমনকি ইউরেনাস এবং নেপচুনের কক্ষপথও স্থিতিশীল থাকবে না।

পৃথিবীর কক্ষপথ যদি পরিবর্তিত হয়ে যায় তাহলে তা আর আমাদের জন্য বাসযোগ্য থাকবে না। এমনকি এটি পুরোপুরি বসবাসের অযোগ্য হয়ে যেতে পারে। গবেষকরা উপসংহারে পৌঁছানোর মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন যে, সৌরজগতে অতিরিক্ত গ্রহ না থাকাটা বরং ইতিবাচক বিষয়।

যদি একেবারে ছোট একটি গ্রহ মঙ্গল এবং বৃহস্প্রতির মাঝে অবস্থান করে তাহলে কক্ষপথ কিছুটা অস্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে সামান্য ছোট বিচ্যুতি ঘটলে বড় বিপর্যয়কর পরিণতি নিয়ে আসতে পারে।

পৃথিবীর স্থিতিশীল থাকা অথবা না থাকার বিষয়টি জুপিটার এর উপর বেশি নির্ভর করে। কক্ষপথে অন্য একটি গ্রহ থাকলে আমাদের পৃথিবী সৌরজগৎ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যেতে পারে। এমনকি ইউরেনাস এবং নেপচুনের মত গ্রহ সোলার সিস্টেম থেকে পুরোপুরি ছিটকে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা সৌরজগৎ নিয়ে এবং গ্রহগুলির গঠন সম্পর্কে আরো অধ্যায়ন চালিয়ে যাচ্ছেন।