নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভার মঙ্গল গ্রহে প্রাচীন প্রাণের সন্ধান পেতে পারে। রোভারটি মঙ্গলের জেজেরো ক্রেটারে একটি বিশেষ পাথর শনাক্ত করেছে। এই পাথরটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্যাফায়ার ক্যানিয়ন’।
পাথরটির গায়ে ‘চিতা বিন্দুর’ মতো দাগ দেখতে পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই দাগগুলো প্রাচীন জৈবিক কার্যকলাপের ফল হতে পারে। গবেষণাটি নেচার জার্নালে সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ প্রকাশিত হয়।
জেজেরো ক্রেটারে কী পাওয়া গেছে?
পারসিভিয়ারেন্স রোভার ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই নমুনা সংগ্রহ করে। পাথরটির রাসায়নিক গঠন পৃথিবীতে জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট পাথরের মতো। এতে আয়রন ফসফেট এবং আয়রন সালফাইড মিলেছে।
বিজ্ঞানী জোয়েল হুরোউইট্জ এই গবেষণার নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেছেন, এই খনিজগুলো নিম্ন তাপমাত্রায় তৈরি হয়েছে। যা প্রাণের অস্তিত্বের অনুকূল পরিবেশের ইঙ্গিত দেয়।
প্রমাণ নিশ্চিত করতে কী প্রয়োজন?
মিশনের বিজ্ঞানী কেন ফারলি সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, রোভারের যন্ত্রপাতি দিয়ে জীবন থাকার চূড়ান্ত প্রমাণ মেলবে না। এর জন্য পাথরের নমুনা পৃথিবীতে এনে পরীক্ষা করা অপরিহার্য।
পৃথিবীর অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করেই কেবল নিশ্চিত হওয়া যাবে। আইসোটোপ বিশ্লেষণ এবং ন্যানোস্কেল ইমেজিং এর মাধ্যমে জীবনের অস্তিত্ব প্রমাণ সম্ভব।
মঙ্গল নমুনা ফেরত অভিযানের ভবিষ্যৎ
নাসা এবং তার আন্তর্জাতিক অংশীদারদের জন্য মঙ্গল নমুনা ফেরত আনা একটি বড় লক্ষ্য। স্যাফায়ার ক্যানিয়নের মতো নমুনা বিশ্লেষণ করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ। এটি মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানের ভিত্তি বদলে দিতে পারে।
মঙ্গল গ্রহে প্রাচীন প্রাণের সন্ধান এর এই ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি মহাবিশ্বে আমরা একা কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সাহায্য করবে। পুরো বৈজ্ঞানিক communauté এই আবিষ্কারকে ঐতিহাসিক হিসেবে দেখছে।
জেনে রাখুন-
Q1: পারসিভিয়ারেন্স রোভার কী শনাক্ত করেছে?
রোভারটি মঙ্গলের জেজেরো ক্রেটারে একটি পাথর শনাক্ত করেছে। পাথরটিতে প্রাচীন জীবনের সম্ভাব্য লক্ষণ রয়েছে।
Q2: স্যাফায়ার ক্যানিয়ন পাথরটি কেন বিশেষ?
পাথরটির গায়ে ‘চিতা বিন্দুর’ মতো দাগ আছে। এই দাগগুলো জৈবিক প্রক্রিয়ার ফলে সৃষ্টি হতে পারে।
Q3: মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব নিশ্চিত হওয়া যায়নি কেন?
রোভারের সীমিত যন্ত্রপাতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রমাণ করা সম্ভব নয়। নমুনা পৃথিবীতে এনে পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
Q4: এই আবিষ্কারের গুরুত্ব কী?
এটি মহাবিশ্বে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে আমাদের বোঝাপড়াকে আমূল বদলে দিতে পারে। মঙ্গলে প্রাণের সন্ধানে এটি একটি বড় মাইলফলক।
Q5: গবেষণার তথ্য কোথায় প্রকাশিত?
গবেষণাপত্রটি ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নেচার জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। Reuters এবং AFP এই খবরটি কভার করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।