মহাবিশ্বে সর্বদা ম্যাটার এবং এনার্জির মধ্যে মিথস্ক্রিয়া ঘটে থাকে। এখানে চুম্বকত্ব এবং মধ্যাকর্ষণের মতো প্রাকৃতিক শক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ট্র্যাক্টর বিম মুভমেন্টের ধারণাটি ১৯৩১ সালে পাবলিশ হওয়া বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর মাধ্যমে এসেছে।
বিজ্ঞান কল্পকাহিনী এবং সিনেমার মাধ্যমে এ বিষয়টিকে সবার সামনে স্বাভাবিক করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা ট্র্যাক্টর বিম নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। চারপাশের কিছু জিনিস সরানোর ক্ষেত্রে তা ব্যবহার করা হচ্ছে।
এটি নির্মাণ করার ক্ষেত্রে লেজারের সহায়তা নেওয়া হয়েছে। ফার্মেসি সহ জীববিজ্ঞান এবং ন্যানো প্রযুক্তিতে এ কৌশল কাজে আসবে। ট্র্যাক্টর বিম আসলে ভারি জিনিস সরানোর জন্য শক্তিশালী নয়। পাবলিশ হওয়া ওই গবেষণা পত্রের প্রধান লেখক হচ্ছেন চীনের কিং ডাউন ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির লেই ওয়াং।
তিনি বলেন যে, খুব ক্ষুদ্র জিনিস সরানোর ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা সম্ভব। ক্ষুদ্র জিনিস সরানোর জন্য ফোটনের ভরবেগ ব্যবহার করা হয়। নির্দিষ্ট পরিস্থিতি অনুযায়ী ল্যাবে ব্যবহার করা হয়। ল্যাবে সিলিকন ডাই-অক্সাইডের মত বস্তু থাকে যা গবেষকরা নানা পরীক্ষার জন্য তৈরি করে থাকে।
এসব বস্তুর ক্ষেত্রে এ রশ্মি প্রয়োগ করা হয়। এটি একটি বিরল গ্যাসীয় পরিবেশে কাজ করতে পারে যেখানে চাপ স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকে। তিনি আরো বলেন যে, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে স্পর্শ না করে কোন বস্তু দীর্ঘ দূরত্ব থেকে টেনে নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যাওয়া।
বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার জন্য এটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর বাইরে মঙ্গলে গাড়ি বা বিমান নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে এ কৌশল ভবিষ্যতে কাজে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিভিন্ন গ্যাসীয় পরিবেশে কৌশলটি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
বিভিন্ন রাসায়নিক স্যাম্পল সংগ্রহ করার জন্য নাসা এ পদ্ধতি ব্যবহার করতে আগ্রহী ছিল। লেজার রশ্নির মাধ্যমে একটি শিলাকে পুরোপুরি বাষ্পে পরিণত করে ফেলা সম্ভব। বিজ্ঞানীরা এটির সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আরও গবেষণা চালিয়ে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।