মোঃ মাহামুদুল হাসান : উত্তরবঙ্গের রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলাকে একসময় মানুষ চিনত-জানত মঙ্গাপীড়িত এলাকা হিসেবে। ফি বছর অক্টোবর-নভেম্বর (বাংলার আশ্বিন কার্তিক মাস) মাস কৃষিকাজ না থাকায় এ অঞ্চলের বিস্তীর্ণ জনপদের মানুষ বেকার হয়ে পড়ত। মৌসুমি এই বেকারত্বের কারণেই দেখা দিত খাদ্যের অভাব। নিজের ও পরিবারের জীবন বাঁচাতে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি অল্প দামে বিক্রি করে দিয়ে হতো সর্বস্বান্ত। মানুষ না খেয়ে থাকতে থাকতে একসময় অপুষ্টিতে ভুগত। আর সে সুযোগে চড়া সুদে ঋণ বিতরণ করত মহাজনরা। পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম মানুষটি দিশাহারা হয়ে যখন কাজের খোঁজে অন্য জেলায় চলে যেত, ঠিক তখনি ঘরে রেখে যাওয়া স্ত্রী, শিশুদের নিয়ে ঘটত নানা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। উত্তরের এই জনপদে এটাই ‘মঙ্গা’ নামে পরিচিত ছিল।
এই মঙ্গা শেষ হতে না হতেই জাঁকিয়ে বসত ‘জার’ বা শীত। কর্মহীন মানুষদের জগতজুড়ে কনকনে ঠান্ডার প্রকোপে প্রাণবায়ু যায় যায়। রোগ, শোক, মহামারী এসে ঘিরে ধরত তাদের। হাড় হিম করা উত্তরের হিমালয় থেকে বয়ে আসা কনকনে শীতে শুধুমাত্র গরম কাপড়ের অভাবে অনেক বয়স্ক মানুষ ও শিশু মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ত।
আকাল আর জারে মানুষের কষ্টের কথা তুলে ধরতে রাজধানী থেকে রংপুর অঞ্চলে ছুটে যেতেন গণমাধ্যমকর্মীরা। পত্রিকার পাতা ঠাসা থাকত পীড়িত মানুষের নানা দুর্দশার প্রতিবেদন আর ছবিতে। উত্তরাঞ্চলের মঙ্গা নিয়ে আমৃত্যু লিখে গেছেন সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন। মঙ্গা নিয়ে তাঁর আছে সাড়াজাগানো অসংখ্য প্রতিবেদন ও একাধিক বই। এসব প্রতিবেদন ও বইয়ে আছে সেই দুঃসময়ের বয়ান।
তবে দিন পাল্টেছে, সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে অবস্থারও। উত্তরাঞ্চলের এই পাঁচ জেলার মানুষকে এখন আর না খেয়ে থাকতে হয় না। গত দুই দশকে গ্রামীণ অর্থনীতি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। ২০১৬ সাল পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বেশি দরিদ্র এবং অতিদরিদ্র মানুষের বসবাস ছিল রংপুর বিভাগে। কিন্তু গত পাঁচ বছরে এই বিভাগে দরিদ্র এবং অতিদরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।
২০১৬ সাল পর্যন্ত দারিদ্র্য এবং অতিদারিদ্র্য মানুষের বসবাস সবচেয়ে বেশি ছিল রংপুর অঞ্চলে। ২০১০ সালে রংপুর বিভাগে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করত ২৭ দশমিক ৭ শতাংশ, ২০১৬ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৫ এবং ২০২২ সালে ২০ শতাংশেরও বেশি কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১০ শতাংশ।
গ্রামীণ দরিদ্র এবং অতিদরিদ্র মানুষের বসবাসের দিক থেকেও রংপুর বিভাগের উন্নতি হয়েছে। গ্রামীণ দরিদ্র এবং অতিদরিদ্র মানুষের বসবাস সবচেয়ে বেশি এখন বরিশাল বিভাগে। যথাক্রমে ২৮ দশমিক ৪ এবং ১৩ দশমিক ১ শতাংশ গ্রামীণ দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষ বরিশালে বসবাস করে। এক্ষেত্রে রংপুর বিভাগে গ্রামীণ দারিদ্র্য ২৩ দশমিক ৬ আর ১০ দশমিক ৩ শতাংশ অতিদরিদ্রের বাস।
অথচ দেড় দশক আগে ২০০৮ সালেও উত্তরবঙ্গের লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী ও রংপুর জেলার মাত্র ২৩ শতাংশ পরিবার মঙ্গার সময় তিন বেলা খেতে পারত। তার মানে সে সময় ৭৭ শতাংশ পরিবারের সদস্যরাই অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাতেন। পর্যায়ক্রমে মঙ্গা পরিস্থিতির উন্নতিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে কৃষি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন।
মঙ্গা পরিস্থিতি উত্তরণে কৃষি
আগে এ অঞ্চলের অধিকাংশ জমি অনাবাদি ও পতিত পড়ে থাকতো। গ্রামের যে কৃষকের সবচেয়ে বেশি জমি ছিল সে কৃষকও ‘মরা কার্তিকের’ প্রবল আগ্রাসন থেকে রেহাই পায়নি। অর্থাৎ অনেক জমি থাকা স্বত্বেও ঘরে ভাত ছিল না। কিন্তু গত দুই দশকে সেচ ব্যবস্থার উন্নতি এবং কম জীবনকালের ফসলের বদৌলতে কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়ে অর্থনৈতিক সাফল্য বয়ে এনেছে কৃষকরা। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার যোগ করেছে নতুন মাত্রা। ফলে এই অঞ্চলে পতিত জমি বলতে এখন আর কিছু নেই। নদীর চর থেকে পতিত জমিগুলো ফসলে ফসলে ভরে উঠছে। বারো মাসেই উৎপাদিত হচ্ছে কোন না কোন ফসল।
কুড়িগ্রামের চিলমারী, রৌমারী বা নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকার মতো মঙ্গার ‘হটস্পটগুলো’ এখন আমূল পাল্টে গেছে। বছরের পুরোটা সময়জুড়ে এসব এলাকার মাঠে ফসল ফলছে।
এখন আমন কাটার পর এই অঞ্চলের কৃষকরা আলু এবং অন্য ফসল চাষ করে থাকে। নতুন শস্য বিন্যাসে আগাম আমন-সরিষা-বোরো বা আগাম আমন-আলু দুবার আউশ চাষ করা যাচ্ছে। এতে শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধি পেয়ে বছরে ৩-৪টি ফসল উৎপাদিত হচ্ছে।
মঙ্গা নিরসনে বাংলাদেশের কৃষি বিভাগের গবেষণা ও এর সম্প্রসারণ উদ্যোগ সর্বমহলে প্রশংসিত। বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে মঙ্গা নিরসনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগের প্রথমটিই ছিল ব্রিধান ৩৩। ২০০৪ সালের আমন মৌসুমে রংপুরে ধানটির প্রথম আবাদ শুরু হয় এবং পরবর্তী সময়ে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
এর পরপরই আগাম জাতের (বিনাধান৭, বাউধান ১) ধানের আবাদ সম্প্রসারণ হয়। এসব জাত মধ্য আষাঢ় মাসের পর রোপণ করে আশ্বিন মাসের মধ্যেই কেটে ফেলা যায়। আমন মৌসুমে কার্তিক মাসের আগেই আশ্বিন মাসের মধ্যে আগাম ধান কাটার ব্যবস্থা হয়। এর ফলে শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় যথেষ্ট। আগাম জাতের ধান থেকে পাওয়া খড়ে গবাদিপশুর খাদ্যঘাটতি পূরণ হয়। আবার এই খড় থেকে কৃষকের বাড়তি মূল্য প্রাপ্তি হয়। আগাম (ব্রিধান ৩৩, বিনাধান৭, বাউধান ১) ফলে আগাম আলু, সরিষাসহ রবি ফসল আবাদ করার সুবিধাও মেলে। ধানের এসব জাত ছাড়াও ব্রিধান ৫৬, ব্রিধান ৫৭সহ বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির হাইব্রিড জাতের ধানের চাষ শুরু হয়েছে।
এ অঞ্চলের তিস্তাসহ বিভিন্ন নদীর বুকে জেগে ওঠা অসংখ্য বালু চরকেও চাষাবাদের আওতায় এনেছেন কৃষকরা। এসব বালু চরে চাষ হচ্ছে মিষ্টি কুমড়া, খিরা, তরমুজ, বাদামসহ বিভিন্ন ফসল।
কৃষি কাজের পরিধি বেড়ে যাওয়ায় কৃষিমজুরের মজুরিও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। দুই দশক আগেও যেখানে ১০ টাকা ও এক সের চালের বিনিময়ে একজন কৃষিমজুরকে পাওয়া যেত সেখানে এখন প্রত্যন্ত গ্রামেও কৃষিমজুরের মজুরি দিনে কমপক্ষে ৪০০ টাকা।
বঙ্গবন্ধু সেতু এবং শ্রমের গতিশীলতা
অর্থনীতিতে শ্রমের গতিশীলতা বলে একটা কথা আছে। কোনও দেশ বা অঞ্চলে শ্রমের গতিশীলতা না থাকলে সেখানে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বেই। রংপুর অঞ্চলে মঙ্গার অন্যতম কারণ ছিল এখানে শ্রমের গতিশীলতা না থাকা। অর্থাৎ এখানে শ্রমিকদের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বা এক পেশা থেকে অন্য পেশায় বা কর্মের এক স্তর থেকে অন্য স্তরে উন্নীত হওয়ার সুযোগ ছিল না। এই দুঃখ ঘুচিয়ে দিয়েছে যমুনা নদীর উপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতু।
এখন রংপুর অঞ্চলের মজুর বা শ্রমিক এলাকায় কাজ না জুটলেই সোজা ঢাকার পথ ধরেন। কর্মের খোঁজে অনেকেই চলে যান গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। বঙ্গবন্ধু সেতু হওয়ার আগে রংপুর থেকে ঢাকায় ৮ থেকে ১০টি বাস ছাড়ত। আর এখন প্রায় ৩ শতাধিক বাস ছাড়ে। প্রত্যন্ত উপজেলা থেকেও বাস যায় ঢাকায়। রৌমারী, চিলমারী, ডোমার, ডিমলার মতো এলাকা থেকেও ঢাকায় সরাসরি বাস যায়। দিনমজুররা এলাকার কৃষি কাজ না থাকলে এখন ঢাকা বা অন্যান্য শহরে রিকশা চালনা, পোশাকশিল্পের সঙ্গে জড়িত হয়ে যাচ্ছেন। শহরে উপার্জিত অর্থ পাঠিয়ে দিচ্ছেন গ্রামে থাকা পরিবারের কাছে। এই অর্থ বিনিয়োগ হচ্ছে কৃষিতে। ফলে চাঙ্গা হচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতি।
১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর রংপুর অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। ফলে কৃষির চেহারাটাই পাল্টে গেছে। এখন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার যে কৃষক ফসল শাক-সবজি উৎপাদন করছেন, তিনি কিছুটা হলেও মূল্য পাচ্ছেন। শাক-সবজি তুলে বাজারে নেওয়ার পর পাইকার তা কিনে নিচ্ছেন এবং সেগুলো প্যাকেট করে রাতারাতি ঢাকায় পাঠাচ্ছেন। আবার এ অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় কোনো পণ্যের ঘাটতি দেখা দিলে রাতারাতি ঢাকা থেকে সেসব পণ্য চলে যাচ্ছে।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলো
সরকারের দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচিও মঙ্গা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচীর সঙ্গে দারিদ্র্য-বিমোচন কর্মসূচী যেমন চরাঞ্চলে বিভিন্ন ফসল ও সবজির আবাদ করা এবং বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানে প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর পরিধি বৃদ্ধির কারণেও পাল্টে গেছে দৃশ্যপট।
বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী এবং কাজের বিনিময়ে দুস্থ ভাতাসহ ১২৩টির মতো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে সরকার। ফলে অন্যান্য অঞ্চলের মতো রংপুর অঞ্চলের অসহায় মানুষও এর সুফল ভোগ করছে। ফলে না খেয়ে থাকার মতো আর অবস্থা নেই কোনও পরিবারেই।
শিক্ষায় উন্নতি
শিক্ষার নিম্নহার রংপুর অঞ্চলে মঙ্গা পরিস্থিতি নিরসনের একটি অন্তরায় হিসেবে বিবেচনা করা হতো। ২০০৭ সালে পিপিআরসির জরিপে দেখা যায়, দিনমজুর পরিবারগুলোর মধ্যে কুড়িগ্রামে অশিক্ষিত মানুষের সংখ্যা ছিল ৭০ দশমিক ২ শতাংশ। এ হার গাইবান্ধা, রংপুর ও নীলফামারী জেলায় ছিল যথাক্রমে ৬৫ দশমিক ১, ৬০ দশমিক ৪ ও ৬০ দশমিক ২।
কুড়িগ্রামে এসব পরিবারের মাত্র ১৪ দশমিক ১ শতাংশ প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত ছিল। গাইবান্ধা, রংপুর ও নীলফামারীতে এই হার সর্বোচ্চ ১৮ শতাংশের বেশি ছিল না। তবে গত দুই দশকে বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষাসহ সব ধরনের শিক্ষা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। উত্তরের এসব জেলাতেও তার প্রভাব পড়েছে।
নীলফামারী জেলায় ২০১৯ জাতীয় তথ্য অনুযায়ী মোট শিক্ষার হার ৭০ দশমিক ০৩ শতাংশ। নিরক্ষরের হার ২৬.০৭ শতাংশ। জেলার লিখতে ও পড়তে পারা মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪ শতাংশ। প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার হার ৭৫ শতাংশ। ২০১১ সালে জেলার শিক্ষার হার ছিল ৫৪ শতাংশ। গত আট বছরে শিক্ষার হার বেড়েছে ১৬ ভাগের বেশি। কুড়িগ্রামে এখন শিক্ষার হার ৫৬ শতাংশ, গাইবান্ধায় ৫৪ শতাংশ। রংপুরে প্রায় ৬৩ শতাংশ মানুষ শিক্ষিত।
আগে এই অঞ্চলের মেধাবী শিক্ষার্থীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ না পেলে ভর্তি হতো রংপুর কারমাইকেল কলেজে। আর এখন দেশের এমন কোনও পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় নাই যেখানে রংপুরের পাঁচ জেলার শিক্ষার্থী পাওয়া যাবে না। বরং কোনও কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে এত বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে যে সেখানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপজেলা সমিতিও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, মেরিন একাডেমি, দিনাজপুরে হাজি দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুড়িগ্রামে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, লালমনিরহাটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে। ফলে শিক্ষার প্রভাব পড়ছে এ অঞ্চলের অর্থনীতিতেও।
উত্তরা ইপিজেড
উত্তরাঞ্চলের মঙ্গা দূর করতে ২০০১ সালে উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় ২১৩.৬৬ একর এলাকায় গড়ে তোলা হয় এই ইপিজেড। উত্তরা ইপিজেড ২০০১ চালুর পর এখানে নীলফামারীসহ আশপাশের জেলার ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী। কর্মসংস্থান হওয়ায় মিলেছে অনেকেরই অর্থনৈতিক মুক্তি। দূর হয়েছে মঙ্গা। গ্রামের বাড়ি থেকেই অনেকেই এখানকার কারখানায় কাজ করতে যায়। ফলে বেঁচে যায় তাদের বাসা ভাড়ার টাকাও। আগে নীলফামারী এলাকায় ঝুপড়ি ঘর বা ছাউনি ঘর দেখা যেত। এখন আর দেখা যায় না।
এই ইপিজেডকে কেন্দ্র করে নীলফামারীতে পরোক্ষভাবে গড়ে উঠেছে অনেক ছোট প্রতিষ্ঠান। ফলে স্থানীয় অর্থনীতিতে অন্যান্য ব্যবসার সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে। তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা।
লেখক: সম্পাদক, জুমবাংলা.কম
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।