বিনোদন ডেস্ক : মঞ্চে কৌতুক অভিনয় করে দর্শক হাসাতে ওস্তাদ তিনি। সবাই তার অভিনয়ে এতই মুগ্ধ হয়েছেন যে, মঞ্চে অভিনয়ের মধ্যে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে কখন তিনি মারা গেলেন তা দর্শকরা ধরতেই পারেননি। শুধু তাই নয় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন পড়ে থাকাটাকে অভিনয় ভেবে হাততালিও দিয়েছেন উপস্থিত সবাই।
কিন্তু মুহূর্তেই সেই আনন্দঘন পরিস্থিতি গুরুগম্ভীর বেদনায় রূপ নিল। অভিনেতা আর উঠে দাঁড়ালেন না। দর্শক ও ভক্তদের ফাঁকি দিয়ে চিরদিনের জন্য না ফেরার দেশে চলে গেলেন কৌতুকাভিনেতা মঞ্জুনাথ নাইড়ু। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৩৬ বছর বয়সী এই অভিনেতার জন্ম আবুধাবিতে হলেও পরে তিনি দুবাইতে চলে যান। তার মৃ*ত্যুতে একটি প্রশ্ন সামনে এলো। যারা খুব হাসিখুশি থাকেন বা অন্য মানুষকে হাসাতে পারেন, তাদের বুকের গভীরে কি সত্যিই অনেক কষ্ট লুকিয়ে থাকে?
অনেকের ধারণা, মঞ্জুনাথ নাইড়ু দুশ্চিন্তা ও কষ্ট লালন করছিলেন মনের মধ্যে। হতাশাগ্রস্ত মঞ্জুনাথ শুক্রবার (১৯ জুলাই) অভিনয় করার মধ্যেই তার হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে গেলে লুটিয়ে পড়েন মঞ্চে। মিকদাদ দোহাদুয়ালা নামে তার এক বন্ধু ও সহ-অভিনেতা বলেন, সবার শেষে তার পারফর্ম করার পর্ব ছিল। তিনি মঞ্চে গিয়ে গল্প বলে সবাইকে হাসাচ্ছিলেন। তার বাবা ও পরিবার সম্পর্কে বলছিলেন। তারপর তিনি একটি ভিন্ন গল্পে যান, নিজে কীভাবে হতাশায় ভোগেন সেটাই বলছিলেন। মিনিট খানেকের মধ্যে হঠাৎ মঞ্চের বেঞ্চে বসে পড়েন তিনি। তারপর মেঝেতে পড়ে যান।
তখন দর্শকরা ভেবেছিলেন, এটা কৌতুকেরই একটি অংশ। তারা এটাকে অভিনয় হিসেবেই নিয়েছিলেন, কারণ তখন তিনি তার হতাশার কথা বলতে বলতে পড়ে গিয়েছিলেন। তারপর সব শেষ হয়ে গেল। ডাক্তার তাকে আর জাগাতে পারলেন না। মঞ্জুনাথের মা-বাবা আগেই মারা গেছেন। দুবাইতে তার একটি ভাই ছাড়া আর কোন আত্মীয়-স্বজন নেই। এই শিল্প ও নাট্যদলটিই ছিল তার পরিবার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।