বিনোদন ডেস্ক : প্রতারণা ও চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার আলোচিত মডেল মেঘনা আলম ১৯ দিন পর কারামুক্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি কারামুক্ত হন। গত ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে মডেল মেঘনা আলম আটক করা হয়।
ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহের আদালত শুনানি শেষে নারী বিবেচনায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। গত ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মডেল মেঘনা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তাঁর ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল হয়েছিল।
এর আগে গত ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটকের আগে তিনি ফেইসবুক লাইভে এসে বাসার ‘দরজা ভেঙে পুলিশ পরিচয়ধারীরা’ ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন। তাঁকে আটক করার পরপরই লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের দিয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির অপচেষ্টা করার অভিযোগে পুলিশের হেফাজতে রাখা মডেল মেঘনা আলমকে রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণার এক মামলায় গত ১৭ এপ্রিল গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
জানা যায়, বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাঁদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে ধানমন্ডি থানায় ওই মামলাটি করা হয়। এ মামলায় মেঘনার সহযোগী দেওয়ান সমির রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছেন।
মডেল ও মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মেঘনা আলম ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর মিস আর্থ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।