নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ১০ নম্বর ওয়ার্ডে (মতিঝিল) কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে ঠেলাগাড়ি প্রতীকী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন মারুফ আহমেদ মনসুর। এর আগে ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তিনি।
ফের দায়িত্ব পেলে ১০ নম্বর ওয়ার্ডকে উন্নত নাগরিক সেবার ‘মডেল ওয়ার্ড’ হিসেবে গড়ে তোলার অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করবেন বলেজুমবাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান মারুফ আহমেদ মনসুর।
তিনি বলেন, ‘একসময়ের সন্ত্রাস আর চাঁদাবাজদের আঁতুরঘর বলে পরিচিত ছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ১০ নম্বর ওয়ার্ড। গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শহরের শান্তিপ্রিয় এলাকাগুলোর মধ্যে মতিঝিলকে অন্যতম স্থানে পরিণত করেছি।’
মাদকবিরোধী র্যালি, আলোচনাসভা ও কমিউনিটি পুলিশের সহযোগিতায় মাদকের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার ছিলেন বলে জানান তিনি।
মনসুর বলেন, গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন রাস্তার সংস্কার করাসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থায় তিনি ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন। ফলে এলাকার জলাবদবদ্ধতা অনেকাংশে কমে গেছে। ওয়ার্ডের প্রতিটি এলাকায় এলইডি লাইট প্রতিস্থাপন করেছেন বলেও জানান তিনি।
এ ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা আসলাম বলেন, আমাদের এ কাউন্সিলর একজন সৎ ও আদর্শবান মানুষ। কোনও লাভের লোভ তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। জনসেবা আর উন্নয়নের বাইরে কোনও চিন্তা নেই তার। এ ওয়ার্ড আর সাধারণের উন্নত নাগরিক সেবার জন্য মারুফ আহমেদ মনসুর ভাইয়ের বিকল্প নেই। পূর্বের মতো এবারও সবাই ঠেলাগাড়ি মার্কায় ভোট দিয়ে মারুফ ভাইকে নির্বাচিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।
প্রায় ৩৫ হাজার জনসংখ্যা ও ১৬ হাজার ভোটারের এ ওয়ার্ডটিতে রয়েছে ৭টি কলোনি। মতিঝিল এজিবি কলোনি, টিএন্ডটি কলোনি, বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনিগুলোতে গণপূর্ত, বিটিসিএল, ডাক বিভাগ, ঢাকা ওয়াসা, রাজউকসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারী-কর্মকর্তারা বসবাস করে থাকেন। এসব কলোনিতে বসবাসকারীদের সমস্যা সমাধানে সব সময় তিনি ছিলেন সক্রীয়। শিক্ষানুরাগী মারুফ আহমেদ মনসুর প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাসহ নানান রকম সমস্যা সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
এছাড়া নানান সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক প্রতিনিধি ও গভর্নিং বডিতে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। জনসেবার পাশাপাশি ক্রীয়ামোদি এ কাউন্সিলর ঢাকা মহানগর ফুটবল লীগের সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের একজন কাউন্সিলর দায়িত্বে রয়েছেন।
এ ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনিরুল বলেন, মনসুর ভাই ন্যায়পরায়ন, সজ্জন, নির্লোভী, শিক্ষিত ও ভদ্র মানুষ। আশেপাশের অনেক কাউন্সিলর যখন জুয়ার আসর বসিয়ে নিজেদের আখের গোছানোর কাজে যখন ব্যস্ত তখন আমাদের কাউন্সিলর ছিলেন নাগরিক সেবা আর ওয়ার্ডের উন্নয়ন নিয়ে। মনসুর ভাই এবারও জয়লাভ করে উনার অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করার সাথে সাথে ঢাকা সিটির মধ্যে একটি আধুনিক ওয়ার্ড গঠনে কাজ করবেন বলে আমার প্রত্যাশা।
এক সাক্ষাৎকারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী কাউন্সিলর মনসুর জুমবাংলাকে বলেন, শতভাগ শিক্ষিত জনগণের ওয়ার্ড এই ১০ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডের সম্মানিত বাসিন্দাদের জন্য নিজের সামর্থ্যের শতভাগ দিয়ে এই ওয়ার্ডকে আরও উন্নত, শিক্ষাবান্ধব এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধার এক অনন্য উদাহরণ তৈরির সংকল্পে আগামীর পথে এগিয়ে যাবো, ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আমি আগেরবার নির্বাচিত হয়ে সাধ্যমত চেষ্টা করেছি এ এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যেতে। রাস্তা-ঘাটসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনেছি। যেকোন সমস্যা সমাধানে আমার আন্তরিকতার কমতি ছিল না। যেকোন সংকট সমস্যায় সর্বসাধারণ সব সময় পাশে পেয়েছেন আমাকে। জনগণের সেবার আদর্শ নিয়েই আমি রাজনীতি করি এবং করে যাবো। আশা করি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় এবারও সবাই ঠেলাগাড়ি মার্কায় ভোট দেবে।
তিনি আরও বলেন, আমি গালভরা প্রতিশ্রুতি দিতে নয়, উন্নত নাগরিক সেবার মডেল ওয়ার্ড হিসাবে গঠন করতে চাই ১০ নম্বর ওয়ার্ডকে। সবাইকে সাথে নিয়ে অতীতে যেমন আমি কাজ করে গিয়েছি এবারও একসাথে ওয়ার্ডের উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যাশা আমার।
মারুফ আহম্মেদ মনসুর জুমবাংলাকে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ সৈনিক হিসেবে আমি আমৃত্যু লড়ে যাবো। নির্বাচিত হয়ে আবারও যদি দায়িত্বে আসি তাহলে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন, আমার একমাত্র চ্যালেঞ্জ হবে যেকোন মূল্যে সেই আস্থার প্রতিদান দেয়া, সেই আস্থার সম্মান রক্ষা করা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।