আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চলতি বছরের মার্চে সিঙ্গাপুরে নিজ রুমে ঘুমাচ্ছিলেন চীনের এক নারী। মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে গরম থাকায় তিনি কাপড়-চোপড় খুলেই ঘুমান। কিন্তু হঠাৎ করেই ঘুম ভেঙে যায় তার। আর তাতেই হতভম্ব তিনি। ঘুম থেকে জেগে দেখেন তার এক পুরুষ সহকর্মী ভিডিও ধারণে ব্যস্ত!
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, তারা দুই জনেই একটি কফি হাউজে রান্না সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। কাজ শেষ করে দু’জন ঘুমাতে নিজ নিজ রুমে চলে যান। ঘুমিয়েও পড়েন। কিন্তু হঠাৎ করেই ভিয়েতনামি এক নাগরিক ঢুকে পড়েন তার নারী সহকর্মীর রুমে। ঢুকেই স্মার্টফোন দিয়ে সেলফি স্টাইলে ভিডিও ধারণ করা শুরু করনে। এরপর ওই নারীর গায়েও হাত দেন। এতে ঘুম ভেঙে যায় ওই নারীর। জেগে তিনি দেখতে পান ওই পুরুষ সহকর্মীটির হতভম্ব করার মতো কাণ্ড।
পরে তিনি ওই পুরুষ সহকর্মীটির কাছে জানাতে চান কেন, কিভাবে তার রুমে ঢুকলেন। তিনি জানান, মধু নিতে তার রুমে প্রবেশ করেন! সেই সঙ্গে তার কাছে ক্ষমাও চান ৪৫ বছর বয়সী ওই ভিয়েতনামি নাগরিক। এরপর ওই নারী সিঙ্গাপুরের একটি আদালতে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন। পরে গতকাল শুক্রবার দেশটির আদালত ওই মামলার রায় দেন। রায়ে অভিযুক্তকে এক বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তাকে তিনটি বেত্রাঘাত করার কথাও বলা হয়।
ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর আর. অরবিন্দ্রেন জেলা জজ ওং চিন রুকে জানান, ভুক্তভোগীর ঘরে ঢুকে অভিযুক্ত ওই নারীকে নগ্ন অবস্থায় ঘুমাতে দেখে উত্তেজিত ও কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। পরে ওই ব্যক্তি তার গোপন অঙ্গের ভিডিও ধারণ করেন।
ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর অভিযুক্তের ১৬ মাসের কারাদণ্ড চান। কিন্তু দেশটির আদালতের বিচারক তাকে এক বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেন। তিনটি বেত্রাঘাত করার কথাও বলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।