মধুর প্রতি আমাদের সবারই কমবেশি দুর্বলতা আছে। তাইতো মধু কেনার সময় তা খাঁটি কি না সে প্রশ্ন থাকে বেক্রতার কাছে। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, সারা বছরই মধুর চাহিদা প্রতিটি ঘরে থাকেই। ঠান্ডায় সর্দি-কাশি থেকে উদ্ধার পেতেই শুধু নয়, মেদ ঝরাতে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, সংক্রমণ রুখতে মধুর ভূমিকা অনেক।
প্রাকৃতিকভাবে মধু কিছুটা অ্যান্টিসেপ্টিকেরও কাজ করে। তাই ক্ষত সারাতেও এর ব্যবহার রয়েছে। তবে মধুর চাহিদা যতই বেড়েছে, ততই এর জোগানে এসেছে ভেজাল। নামি ব্রান্ডের মধুতেও নানা সময়ে মিলেছে ভেজাল। খাঁটি মধু চিনে নেওয়ার কিন্তু বিশেষ উপায়ও আছে, তা জানলে দোকানি কিছুতেই ভেজাল মধু দিয়ে ঠকাতে পারবেন না আপনাকে। কী কী উপায়ে চিনবেন খাঁটি মধু, জেনে নিন…
১. সবার প্রথমে এক গ্লাস পানিতে এক চামচ মধু গুলে দেখুন যদি কয়েক সেকেন্ডেই মধু পানির সঙ্গে ভালো করে মিশে যায়, তা হলে কিন্তু মধু খাঁটি নয়। খাঁটি মধু গ্লাসের তলায় প্রথমে দলা পাকিয়ে থিতিয়ে পড়বে।
২. খাঁটি মধু চিনতে পেপার টাওয়ালও ব্যবহার করতে পারেন। একটি পেপার টাওয়ালের ওপর মধু ফেলে দেখতে পারেন। যদি টাওয়াল মধু পুরোপুরি শুষে নেয়, তা হলে সেই মধুতে ভেজাল আছে ধরে নিতে হবে। খাঁটি মধু সহজে টাওয়ালে মিশতে চাইবে না।
৩. আগুনে পুড়িয়েও মধু খাঁটি কি না তা পরীক্ষা করা যায়। একটি চামচে মধু নিয়ে কিছুক্ষণ গ্যাসের আঁচে ধরুন। যদি মধুর রং বদলে গাঢ় বাদামি হয়ে যায় এবং ক্যারামেলাইজ হয়ে যায়, তা হলে সেই মধু খাঁটি। আর মধু গ্যাসের আঁচে ধরার পর যদি পুড়ে যায়, তা হলে সেই মধু মোটেও খাঁটি নয়।
৪. মধু জমে গিয়ে ক্রিস্টালের আকার ধারণ করে। খাঁটি মধু হলে সেটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে মধুতে ভেজাল মেশানো হলে বা মধু তৈরির সময় প্রচণ্ড তাপ ব্যবহার করা হলে মধু সব সময় তরল থাকবে। শীতেও জমবে না।
৫. মধু আঙুলে লাগিয়েও তা খাঁটি কি না যাচাই করতে পারেন। মধু আঙুলে লাগানোর পর যদি চটচটে করে এবং সহজে ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে না যায়, তা হলে বুঝতে হবে সেই মধু খাঁটি। যদি মধু হাতের সঙ্গে সঙ্গে মিলিয়ে যায় তা হলে কিন্তু সেই মধু খাঁটি নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।