আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার ফলে তেল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় বেড়েছে তেলের দাম। বুধবার (২ অক্টোবর) রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলে ইরানের সামরিক আঘাতের পর বিশ্ববাজারে তেলের ডাম ১ ডলারের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানা গেছে, ব্রেন্ট ফিউচার্স তেলের ডাম ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি ব্যারেল ৭৪ দশমিক ৫৬ ডলারে পৌঁছেছে এবং মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) অপরিশোধিত তেল ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি ব্যারেল প্রায় ৭১ ডলারে পৌঁছেছে। মঙ্গলবারের লেনদেনে উভয় অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্কের দাম ৫ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পায়।
ফিলিপ নোভার সিনিয়র মার্কেট বিশ্লেষক প্রিয়াঙ্কা সচদেভা বলেন, ‘তেল বাজারগুলো মূলত জ্বালানির চাহিদা হ্রাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির দুর্বলতার গল্পের ওপর নির্ভর করছিল। তবুও ইরান ইসরায়েলের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর, মধ্যপ্রাচ্যে তেল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।’
বুধবার ভোরে ইরান জানায়, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শেষ হয়েছে। তবে কোনো উস্কানি এলে আবার হামলা চালানো হবে। অন্যদিকে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাতের হুমকি দিয়েছে, যা আরও বড় যুদ্ধের আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।
ইসরায়েলের দাবি অনুযায়ী, ইরান ১৮০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। আর তেহরান হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ইসরায়েলি প্রতিক্রিয়া আসলে তা ‘ব্যাপক ধ্বংস’ দিয়ে মোকাবিলা করা হবে।
বুধবার মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।
ক্যাপিটাল ইকোনমিক্সের একটি নোটে বলা হয়েছে, ‘ইরানের বড় ধরনের হামলা যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধে টেনে নিতে পারে। ইরান বিশ্ব তেল উৎপাদনের প্রায় ৪ শতাংশ জোগান দেয়। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যদি ইরানের সরবরাহ বিঘ্নিত হয়, তবে সৌদি আরব উৎপাদন বাড়াবে কিনা।’
ওপেক প্লাস (OPEC+) এর একটি প্যানেল বুধবার বৈঠক করবে এবং তেল বাজারের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে। তবে এই বৈঠক থেকে কোনো নীতিগত পরিবর্তন আশা করা হচ্ছে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।