মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনের পর প্রতিনিধি পরিষদে এখন রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তবে পররাষ্ট্র নীতিতে খুব বেশি পরিবর্তন আসবে কিনা সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কেননা ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান শিবির এর পররাষ্ট্র নীতিতে খুব বেশি ব্যতিক্রম নেই।
বর্তমানে প্রতিনিধি পরিষদে উগ্র ডানপন্থীদের আধিপত্য দেখা যেতে পারে। তারা কংগ্রেসে এ ধরনের কিছু আইন পাস করার চেষ্টা চালাতে পারে। প্রতিনিধি পরিষদ এখন রিপাবলিকদের হাতে যাওয়ায় ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের বিষয়ে মধ্যপন্থা অবলম্বন করার বিষয়টি দুর্বল হয়ে যাবে।
এমন সময়ে রিপাবলিকানরা প্রতিনিধি পরিষদে আধিপত্য করেছে যখন ইজরাইলে ইয়ার লাপিদ নতুন করে দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন। ডেমোক্রেটদের উদার গণতন্ত্রপন্থীদের মূল অংশের সমর্থন পাবেনা রিপাবলিকান রা।
তবে মার্কিন কংগ্রেসে এখন ইজরাইলের প্রতি সমর্থন জোরদার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এতদিন মার্কিন কংগ্রেস যেভাবে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে মধ্যপন্থা অবলম্বনের চেষ্টা করেছেন সেটা বাধাগ্রস্থ হতে পারে।
তবে রিপাবলিকানরা সৌদি আরব এবং ইসরাইলের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে আগ্রহী। আবার একই সাথে ইরানের বিরুদ্ধে তারা কট্টর মনোভাব পরিদর্শন করতে চায়। ন্যান্সি পোলিসি দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন পার্লামেন্টের স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
সম্ভবত পরবর্তী সময়ে এমন একজন স্পিকার আসতে যাচ্ছে যিনি ইসরাইল ও ইহুদিবাদকে কট্টর সমর্থন করেন। ইলহান ওমরের মত তরুণ উদার গণতন্ত্রপন্থী কংগ্রেস সদস্যদের প্রতি কঠোর হতে পারে রিপাবলিকানরা।
কেননা এসব কংগ্রেস সদস্যরা ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের নিন্দা জানান। তারা চান যুক্তরাষ্ট্র যেনো ইজরাইলকে কোনো ধরনের আর্থিক সহায়তা না দেয়। এজন্য রিপাবলিকানরা এসব কংগ্রেস সদস্যদের পছন্দ করেন না।
তবে একটি জরিপে দেখা যায় যে, মার্কিন জনগণের ৫৮ শতাংশ ইসরাইল ও ইহুদিবাদের পক্ষে রয়েছে। তবে রিপাবলিকানরা যখন পার্লামেন্টে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে তখন বাইডেন আরো দুই বছর কী পদক্ষপ হাতে নেন তা দেখার অপেক্ষায় বিশ্ব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।