গাইবান্ধা প্রতিনিধি: ঈদ উপলক্ষে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার সৈয়দা সুহানার জন্য বগুড়া থেকে জুতা কিনে এনেছিলেন বাবা সৈয়দ শরীফুল ইসলাম। জুতা মনমতো না হওয়ায় বাবাকে নিয়ে গেলেন গাইবান্ধার জুতোর দোকানে। আঁতিপাঁতি করে খুঁজে অবশেষে মিলল পছন্দের জুতো। হাসি ফুটল বাবা-মেয়ের মুখে।
সুহানা-শরিফুলের সঙ্গে আজ সোমবার কথা হলো গাইবান্ধার পার্কের দিঘির মোড়ে। দুজনই জানালেন, এক জোড়া পছন্দের জুতো খুঁজতে রীতিমতো ঘাম ঝরাতে হয়েছে তাঁদের। দোকানগুলোয় ভিড়ও প্রচুর। কোনো জুতো মনমতো হলেও মাপমতো হচ্ছিল না। কোনো জোড়া মাপে হলেও মনে ধরছিল না। অবশেষে জুতো কিনা হয়েছে।
পার্কের দিঘির উত্তর-পশ্চিম মোড় থেকে দাস বেকারির মোড় পর্যন্ত গাইবান্ধার বেশির ভাগ জুতোর দোকান। বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভেতরে উপচে পড়া ভিড়। যেন ‘তিল ঠাঁই আর নাহি রে’। এমন অবস্থায় দোকানি বা বিক্রয়কর্মীরা কেউই কথা বলার ফুরসত পাচ্ছিলেন না। এর মধ্যেই কথা হলো সম্রাট সুজের পরিবেশক গোলাম নবীর সঙ্গে।
গোলাম নবী জুমবাংলাকে জানালেন, তাঁর দোকানে প্রচুর কালেকশন। তবু অনেক ক্রেতা পছন্দসই জুতো খুঁজে পাচ্ছেন না। কারণ, ক্রেতাও প্রচুর। যেকোনো জুতোই দ্রুত বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। ফলে অনেকেই সেটা আর পাচ্ছেন না। তাঁর দোকানে সব বয়সীদের জুতোই আছে। তবে বেশি বিক্রি হচ্ছে বাচ্চাদের জুতো।
কিছু ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ইদের এই আগমুহূর্তে বেশির ভাগ ক্রেতা জামা কিনে ফেলেছেন। সেগুলো ইতিমধ্যে দর্জিবাড়ি হয়ে নিজের ঘরেও পৌঁছে গেছে। এখন শেষ মুহূর্তে ক্রেতারা ভিড় করছেন জুতোর দোকানে। অনেকে জামার সঙ্গে মিলিয়ে জুতো কিনছেন। একইসঙ্গে তরুণীরা মেহেদির দোকানে ভিড় করছেন। অন্যদিকে তরুণদের দেখা যায় টুপির দোকানে ভিড় করতে।
সালিমার মার্কেটের সামনে বাটার দোকানের পাশেই একটি টুপির দোকানে। সেখানে নানা আকার ও বাহারের টুপি ঝোলানো। কয়েকজন ক্রেতা টুপি বাছাই করছেন।
টুপি বাছাইকারীদের একজন আসলাম তালুকদার। এসেছেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা থেকে। তিনি বললেন, জামা-জুতোসহ অন্য কেনাকাটা শেষ। এখন টুপি দেখছেন। পছন্দ হলে কিনে নেবেন।
একই বিপণীবিতানের সামনে মেহেদি নিয়ে বসেছেন মোঃ আসাদুজ্জামান। তাঁর দোকানে ভিড় তরুণীদের। তাঁরা মেহেদি বাছাই করছেন। কেউ কেউ কিনছেন।
মেহেদি কিনতে আসা তরুণীদের একজন শাপলা আক্তার। তিনি এসেছেন সদর উপজেলার রাধাগোবিন্দপুর গ্রাম থেকে। তিনি বললেন, ইদের সাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ মেহেদি। বিশেষ করে চাঁদ রাতে মেহেদি দিয়ে হাত রাঙাতে না পারলে যেন ইদই ঠিকমতো আসে না।
বিক্রেতা আসাদুজ্জামানের ভাষ্য, ইদের আগে সবাই এখন শেষ মুহূর্তের কাজকর্মে ব্যস্ত। কেউ ব্যস্ত আত্মীয়স্বজনদের দাওয়াতপাতি দিতে। এই ব্যস্ততার মধ্যেও কেউ জুতো, টুপি, মেহেদিটা কিনতে ভুলছেন না। এতে ক্রেতাদের ইদও পূর্ণতা পাচ্ছে। বিক্রেতারাও বেচাকেনা করে লাভের মুখ দেখছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।