মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ

জুমবাংলা ডেস্ক: মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। আজ (৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তিনি পদত্যাগপত্র তার নিজের দপ্তরে পাঠিয়েছেন বলে তার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

বিতর্কিত মন্তব্য ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর সোমবার মুরাদ হাসানকে মঙ্গলবারের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জামালপুরের আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান তালুকদারের ছেলে মুরাদ ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকেটে জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী, মেস্টা ও তিতপল্যা) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৮ সালে তিনি দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য হয়ে প্রথমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান মুরাদ। ২০১৯ সালে তাকে স্বাস্থ্য থেকে সরিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

ডা. মুরাদ হাসান একসময় বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৯৫ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের ৭১ সদস্যের যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তাতে সভাপতি ছিলেন তাতে সভাপতি ছিলেন ডা. মাহবুব-উল কাদির ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ডা. মো. ইসাহাক। আর এই কমিটিতে প্রচার সম্পাদক ছিলেন ডা. মুরাদ।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে রাতারাতি সাচ্চা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে নিজেকে জাহির করেন মুরাদ। ছাত্রলীগে গিয়েও তিনি দাপট দেখিয়ে ১৯৯৭ সালে মমেক শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক পদ বাগিয়ে নেন। এর দুই বছর পর ২০০০ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ পেয়ে যান মুরাদ।