বিনোদন ডেস্ক: অনেক বছর পর এই ঈদে একসঙ্গে মুক্তি পেয়েছে আটটি সিনেমা। হল সংখ্যার বিচারে প্রশংসার পরিমাণে হয়তো পার্থক্য আছে; কিন্তু সমালোচকদের ভাষ্যে— এবারের ছবিগুলো সব ধরনের দর্শকদের জন্য ‘বেছে নাও’ ঘরানার পরিবেশ তৈরি করেছে।
যেমনটি নিকট অতীতে দেখা যায়নি। মানুষ বাধ্য হয়েও অনেক সময় অপছন্দের ছবি দেখেছেন, সময় পার করার জন্য। কারণ দর্শকদের হাতে এবারের মতো বৈচিত্র্যময় সিনেমার অপশন ছিল না।
ঢাকাসহ সারা দেশের দুই শতাধিক প্রেক্ষাগৃহ এবার সিনেমা প্রদর্শন করছে। অথচ স্বাভাবিক সময়ে গেল ক’বছর ধরে চলতি হলের সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ ৬০। শুধু ঈদের সিনেমার খাতিরে প্রায় দেড়শটি প্রেক্ষাগৃহে প্রাণ ফিরেছে এবার। সেটি যেন টেকসই হয়, সবগুলো ছবি যেন ঘুরে-ফিরে প্রদর্শনের হল পায়, মূলত সেদিকেই এবার নজর রাখলেন শিল্পী সমিতির দুই সেশনের সাবেক সম্পাদক জায়েদ খান।
এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। জায়েদ লেখেন— এই ঈদে যার যার সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, তারা সবাই সর্বোচ্চ দিয়ে নিজের সিনেমার প্রচার চালিয়ে যান। কিন্তু কেউ কারও সিনেমা নিয়ে কিংবা কেউ কাউকে কটূক্তি করবেন না প্লিজ।
তিনি লেখেন, দর্শকের কাছে আমাদের সন্মান এমনিতেই তলানিতে। তাদের কাছে আমাদের নিজেদের আর ছোট না করি। ঈদের সব সিনেমা ব্যবসাসফল হোক এই কামনা করছি।
তথ্যমন্ত্রীর প্রতি একটি অনুরোধ রেখে জায়েদ খান বলেন, ঈদের সিনেমাগুলোকে আরও কয়েক সপ্তাহ ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া উচিত। বাংলাদেশি চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীদের বাঁচার সুযোগ তৈরি হোক। তার আগ পর্যন্ত হিন্দি সিনেমা মুক্তি বন্ধ রাখা হোক। তথ্যমন্ত্রী, হিন্দি সিনেমা আমদানিকারক, হল মালিকদের এ বিষয়ে অনুরোধ রইল। জয় হোক বাংলাদেশি সিনেমার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।