মরক্কোয় পৃথিবীর প্রাচীনতম মৌমাছি পালনকেন্দ্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মরক্কোর সোস-মাসা অঞ্চলে অবস্থিত ‘ইনজার্কি এপিয়ারি’কে মনে করা হয় পৃথিবীর সর্বপ্রাচীন ও সর্ববৃহৎ সম্মিলিত মৌমাছি পালনকেন্দ্র। মরক্কোর উপকূলীয় শহর আগাদির থেকে ৮২ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। এটি মরক্কোর জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোর একটি। প্রায় এক হাজার মিটার দীর্ঘ মৌমাছি পালনকেন্দ্রটি কাদা, কাঠ, পাম ও বিনুনিযুক্ত নলখাগড়া দিয়ে তৈরি। ১৮৫০ সালে নির্মাণের পর কেন্দ্রটি বেশ কয়েকবার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। মৌমাছি চাষ অত্র অঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী পেশা। এই অঞ্চলের লোক বংশপরম্পরায় এই কাজ শেখে ও করে। ইনজার্কি মৌমাছি পালনকেন্দ্রের আশপাশে মাত্র কয়েক শ মানুষ বসবাস করে। তাদের বেশির ভাগই মৌচাষি। সাধারণত মার্চ থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত মধুচাষ করা হয়।
ধারণা করা হয়, উত্তর আগাদিরে বারবার উপজাতিরা খ্রিস্টীয় ১৬ শতকের আগেই মৌমাছি পালন শুরু করে। পরবর্তী সময়ে তাদের হাতেই ‘ইনজার্কি এপিয়ারি’ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই মৌমাছি পালনকেন্দ্রটি যৌথ মালিকানাধীন। এখানে দুই শ ৫০টি হোল্ডার (ছোট কক্ষবিশেষ) আছে। প্রতিটি হোল্ডারে ১৫ থেকে ২০টি মৌচাক থাকে। কমপক্ষে তিন হাজার সাত শ মৌচাকে হাজার হাজার মৌমাছি আশ্রয় গ্রহণ করে। এখানে মূলত উত্তর আফ্রিকান হলুদ মৌমাছিরই চাষ হয়। মৌমাছি পালনকেন্দ্রটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৯৮০ মিটার ওপরে অবস্থিত। সামষ্টিক শষ্যভাণ্ডারের মতো এই যৌথমালিকানাধীন মৌমাছি পালনকেন্দ্র পরিচালনা করা হয়।
১৯৯০ ও ১৯৯৬ সালের ভয়াবহ বন্যায় ইনজার্কি এপিয়ারি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০০৬ সালে ইউএসএইড ও ইউনেসকোর সহযোগিতায় তা পুনর্নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া মরক্কো সরকারের ‘গ্রিন মরক্কো প্ল্যান’ কর্মসূচির অধীনে নিয়মিত সহযোগিতা লাভ করে ইনজার্কি মৌমাছি পালনকেন্দ্র।
তথ্যসূত্র : মরক্কো ওয়ার্ল্ড নিউজ ও স্লোফুড ডটকম
রোমান্সে পরিপূর্ণ এই ওয়েব সিরিজ, ভুলেও পরিবারের সামনে দেখবেন না
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।