জুমবাংলা ডেস্ক : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, সিটি করপোরেশন এবং মন্ত্রণালয় মাঠে ময়দানে নেমে সকল মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছে, সতর্ক করছে। এডিস মশা কীভাবে জন্ম হয় আমরা অনেকে জানতাম না এবং আপনারাও জানতেন না। এখন জনগণকে জানাতে পারলে জনগণ সচেতন হবে। সহজে আমরা এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারব।
তিনি আরো বলেন, এখন আমাদের জনসচেতনতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। মশার অস্তিত্ব যথেষ্ট কমেছে। কিন্তু এডিস মশা আরও কমাতে হলে জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া কোনোভাবেই সম্ভব না। আমাদের বাড়ির ছাদ ও আঙিনা যেখানেই পানি জমে সেটা যত দ্রুত পরিষ্কার করতে পারব, সিটি করপোরেশন তত দ্রুত করতে পারবে না।
সোমবার রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের বিয়াম গলিতে ডিএনসিসির উদ্যোগে মশক নিধনে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এক ক্রাশ প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, মশা নিধন ও’ষুধের কার্যকারিতা নিয়ে অনেক রকমের প্রশ্ন আছে। আমরা নিজেরা ও’ষুধ দিয়ে দেখেছি। ও’ষুধ ছিটানোর পরে সেখানে হয়তো কিছু মশা মরে না। কিন্তু তার মানে এটা বলতে পারব না যে ও’ষুধ অকার্যকর।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, মার্চ-এপ্রিল থেকে শহরের সব এলাকায় মশা নিধন কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এডিস মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। ফিলিপাইনে ৭৭ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছে। মালয়েশিয়াতে ৪৬ হাজার ও ভিয়েতনামে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। এছাড়া থাইল্যান্ডের ২৬ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছে। আর বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের তথ্যানুযায়ী দুই হাজার ৬শ’র মত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্যরা সবাই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
মশক নিধনে জনসচেতনতা সৃষ্টির ক্রাশ প্রোগ্রামে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলাল উদ্দিন। সূত্র : আমাদের সময়
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।