জুমবাংলা ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ের দশালিয়া গ্রামের প্রায় ৫০০ মিটার বাঁধ ভেঙে দশালিয়া, গোবিন্দপুর ও আটরাসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ এলাকায় রাস্তা-ঘাট ও মানুষের বসতঘরের পাশাপাশি মসজিদগুলোও পানিতে তলিয়েছে। ফলে শুক্রবার (২৮ মে) এ এলাকার মসজিদগুলোতে জুমার নামাজ আদায় করতে পারেনি মুসল্লিরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকটি মসজিদের ভিতরে হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়েই জুমার নামাজ আদায় করছেন। আবার বেশকিছু মসজিদে নামাজের অনুকূল পরিবেশ না পাওয়ায় পাশের রাস্তার উপর নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
এদিকে বন্যার পানিতে এ এলাকার রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় জুমার নামাজে যেতে দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন মুসল্লিরা। তারা নৌকায় করে মসজিদে এসে জুমার নামাজ আদায় করেছেন।
দশহালিয়া জামে মসজিদের মুসল্লি আব্দুল আলীম ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, জোয়ারের সময় মসজিদের ভিতরে পানি উঠে গেছে। তাই মসজিদের ভিতরে নামাজ আদায়ের অনুকূল পরিবেশ না পেয়ে রাস্তার উপরে নামাজ আদায় করেছি। পানিতে কয়েক জায়গার রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় নামাজ পড়তে আসার সময়ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি। অনেক মুসল্লি নৌকায় করে নামাজে এসেছেন।
মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জি.এম আব্দুল্লাহ আল মামুন (লাভলু) ইত্তেফাককে বলেন, জোয়ারের সময় মসজিদগুলোতে পানি উঠে যাওয়ায় মুসল্লিরা রাস্তার উপরে নামাজ আদায় করেছেন। অনেক মসজিদে হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়েই মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেছেন। বেড়িবাঁধ ভেঙে ভিতরে পানি প্রবেশের পর থেকে মুসল্লিরা কষ্ট করে নামাজ আদায় করছেন।
বেড়িবাঁধের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাঁধের জন্য পর্যাপ্ত মাটি না পাওয়ায় এখনও কাজ শুরু করা যায়নি৷ আমরা সবধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। বাঁধে কাজের অনুকূল পরিবেশ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।