ট্রাক্টর বিম, বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর একটি সাধারণ হাতিয়ার, শীঘ্রই বাস্তবে পরিণত হতে পারে। কলোরাডো বোল্ডার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা মহাকাশের ধ্বংসাবশেষের ক্রমবর্ধমান সমস্যা সমাধানের জন্য এই প্রযুক্তির একটি বাস্তব সংস্করণ তৈরি করছেন। মহাকাশের আবর্জনা একটি উল্লেখযোগ্য হুমকি সৃষ্টি করে কারণ সংঘর্ষগুলি আরও বেশি ধ্বংসাবশেষ তৈরি করতে পারে, যা ক্যাসকেড প্রভাবের দিকে পরিচালিত করে।
যাইহোক, মহাকাশের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ এবং অপসারণ একটি জটিল কাজ। এটি বেশ উচ্চ গতিতে চলে এবং মুভমেন্ট বোঝা বেশ কঠিন। এটি ক্যাপচার করা চ্যালেঞ্জিং করে তোলে। এই সমস্যাটি কাটিয়ে উঠতে, গবেষকরা একটি “ইলেক্ট্রন বিম” ধারণা নিয়ে কাজ করছেন, যা স্ট্যাটিক বিদ্যুতের একটি শক্তিশালী সংস্করণের মতো কাজ করে।
দলটি তাদের প্রযুক্তি পরীক্ষা করার জন্য প্লাজমা এবং মহাকাশযানের মধ্যে ইন্টারঅ্যাকশনের জন্য ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক চার্জিং ল্যাবরেটরি (ECLIPS) নামে একটি ডিভাইস ব্যবহার করছে। ECLIPS পৃথিবীর চারপাশের মহাকাশ পরিবেশকে অনুকরণ করে। দলটি অনুমান করে যে এই প্রযুক্তিটি ধীরে ধীরে কয়েক টন উপগ্রহকে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে প্রায় 200 মাইল টেনে আনতে পারে, যদিও গতি দ্রুত নয়।
যথেষ্ট ডেভেলপমেন্ট সত্ত্বেও, গবেষকরা এখনও এই sci-fi ধারণাটিকে একটি বাস্তব সমাধানে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। পৃথিবীর চারপাশের মহাকাশের পরিবেশ সৌর বায়ু নামে পরিচিত উচ্চ-শক্তির কণার অনিয়মিত প্রবাহে পূর্ণ। এই কণা যা চৌম্বক ক্ষেত্রের বাইরে পৃথিবীর পৃষ্ঠকে রক্ষা করে ও ট্র্যাক্টর বিমের কার্যকারিতায় হস্তক্ষেপ করতে পারে। এই অসামঞ্জস্যতা একটি বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে যা সমাধান করা দরকার।
মহাকাশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্লাজমা পরিবেশের জটিলতাও একটি উল্লেখযোগ্য বাধা তৈরি করে। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথ, জিওসিঙ্ক্রোনাস কক্ষপথ এবং চন্দ্র কক্ষপথে আলাদা আলাদা প্লাজমা পরিবেশ রয়েছে যা অবশ্যই বিবেচনায় নেওয়া উচিত। বিজ্ঞানীদের এমন সমাধান তৈরি করতে হবে যা এই বিভিন্ন অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। একটি কার্যকরী ট্র্যাক্টর রশ্মির বিকাশ হবে মহাকাশ পরিষ্কারের প্রচেষ্টায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।