মহাবিশ্বের বড় রহস্যের একটি ‘গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ’ বা মহাকর্ষীয় তরঙ্গ। আর এই মহাকর্ষীয় তরঙ্গের বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য শক্তিশালী ছয়টি টেলিস্কোপ তৈরি করেছে নাসা। এরই মধ্যে টেলিস্কোপগুলোর প্রোটোটাইপ বা আদিরূপ উন্মোচন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির নেতৃত্বে লেজার ইন্টারফেরোমিটার স্পেস অ্যানটেনা বা লিসা প্রকল্পের আওতায় মহাকাশে পাঠানো হবে টেলিস্কোপগুলো।
আলবার্ট আইনস্টাইন ১৯১৬ সালে প্রথম তাত্ত্বিকভাবে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সম্পর্কে ধারণা দেন। এই তরঙ্গ অনুসন্ধানে কাজ করবে নতুন টেলিস্কোপগুলো। মহাকর্ষীয় তরঙ্গের খোঁজ করার পাশাপাশি ব্ল্যাক হোলের সংঘর্ষের কারণে সৃষ্ট প্রভাব নিয়েও গবেষণা করবে। তিনটি মহাকাশযানের মাধ্যমে ২০৩৫ সালে টেলিস্কোপগুলো মহাকাশে পাঠানো হবে।
পৃথিবীতে অবস্থিত বিভিন্ন মানমন্দির থেকে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করা গেলেও মহাকাশে টেলিস্কোপ স্থাপনের মাধ্যমে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে মহাকাশে পাঠানো হবে টেলিস্কোপগুলো। টেলিস্কোপগুলো বহন করা তিনটি মহাকাশযান মহাকাশে ১৫ মাইল দূরে ত্রিভুজাকৃতিরভাবে অবস্থান করবে। এর মাধ্যমে শুধু ব্ল্যাক হোল নয়, মহাবিশ্বের সূচনা কীভাবে হয়েছিল, তা নিয়ে তাত্ত্বিকভাবে জানার চেষ্টা করবেন বিজ্ঞানীরা।
নাসা জানিয়েছে, ‘লিসা মহাবিশ্বের শুরু, বিবর্তন ও গঠন সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানকে আরও বিস্তৃত করবে।’ যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের গ্রিনবেল্টে নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের গবেষক রায়ান ডিরোসা বলেছেন, তিনটি খেয়াযানের প্রতিটিতে এক জোড়া টেলিস্কোপ থাকবে। নিউইয়র্কের রোচেস্টারে এল ৩ হ্যারিস টেকনোলজিস এসব টেলিস্কোপ তৈরি করছে। ইউরোপীয় স্পেস সেন্টারের ফ্রেঞ্চ গায়েনা উৎক্ষেপণ সেন্টার থেকে পাঠানো হবে টেলিস্কোপগুলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।