মহাকাশে গিয়ে দারুণ বিপদে পড়েছেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার দুই নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও ব্যারি উইলমোর। এই দুই নভোচারী আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন কিছু গবেষণা করার জন্য। কী গবেষণা, তা অবশ্য সুনির্দিষ্টভাবে জানায়নি নাসা।
তবে তারা জানিয়েছে, এখন সে কাজ শেষ হয়ে গেলেও নভোচারী দুজন আপাতত পৃথিবীতে ফিরতে পারছেন না। কারণ, তাঁদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে যে মহাকাশযান, সেই বোয়িং স্টারলাইনারে লিক হয়েছে। ফলে নভোযানটিতে ছড়িয়ে পড়েছে হিলিয়াম গ্যাস। এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পৃথিবীতে ফিরতে পারবেন না ওই দুই বিজ্ঞানী।
এর আগে নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, শিগগিরিই তাঁদের ফিরিয়ে আনার তারিখ জানানো হবে। ২৬ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে তারিখ জানানোর কথা থাকলেও নাসার পক্ষ থেকে বলা হয়, আরও কিছুদিন সময় নিয়ে তাঁরা দুই নভোচারীকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে।
নাসার কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রামের ম্যানেজার স্টিভ স্টিচ আজ জানিয়েছেন, স্টারলাইনার মিশনের মেয়াদ ৪৫ দিন থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করার কথা ভাবছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। এ কথার অর্থ, ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও মার্কিন নভোচারী ব্যারি উইলমোরকে আরও প্রায় দেড় মাস আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনেই অপেক্ষা করতে হবে।
৯০ দিন যেহেতু মিশন শুরুর সময় থেকে ধরা হয়েছে, তাই অপেক্ষাকাল আরও দেড় মাস হতে পারে। তবে ৪৫ দিন পরেই যে তাঁদের পৃথিবীতে ফেরার ব্যবস্থা হবে, সে কথা এখনো নিশ্চিত করে বলেনি নাসা। এটা সম্ভাব্য তারিখ মাত্র।
তবে মহাকাশে অপেক্ষা করতে এই নভোচারীদের কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে তাঁদের জন্য রয়েছে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা। সেখানে হয়তো এই দেড় মাস তাঁরা কোনো গবেষণা কাজে যুক্ত হবেন। ইতিমধ্যে জানা গেছে, তাঁরা স্পেসওয়াক বা মহাকাশ স্টেশনের বাইরে মহাকাশে হেঁটে ফিরবেন। তবে এ সময় ঠিক কী করবেন বা এই ৪৫ দিনে আরও কী কী বিষয়ে গবেষণা করবেন, তা এখনো জানা যায়নি।
দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁদের দুইজনেরই। এর আগে, টানা ৩২২ দিন মহাকাশে থেকে সবচেয়ে বেশি দিন মহাকাশে থাকা নারীর রেকর্ড গড়েছিলেন সুনিতা উইলিয়ামস। আগেও তিনবার মহাকাশে গিয়েছেন তিনি। ব্যারি উইলমোরেরও এর আগে তিনবার মহাকাশে যাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে।
বোয়িং কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রামের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার মার্ক ন্যাপি বলেন, ‘স্টারলাইনার কেন লিক হলো, তা এখনো জানা যায়নি। তবে ভবিষ্যতে এ বিষয়ে তাঁরা আরও কড়া নজর রাখবেন। নভোযানের থ্রাস্টারগুলো যাতে আরও ত্রুটিমুক্ত করা যায়, সে চেষ্টা করবেন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।