বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: মানব শরীরের ‘হাঁটুর অংশের’ বায়োপ্রিন্ট করতে মহাকাশ স্টেশনে নতুন ‘৩ডি প্রিন্টার’ পাঠাচ্ছে গবেষণা সংস্থা নাসা, অ্যারোস্পেস কোম্পানি ‘রেডওয়্যার’ ও ‘ইউনিফর্মড সার্ভিসেস ইউনিভার্সিটি অফ দ্য হেলথ সায়েন্সেস সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি (ইউএসইউএইচএস)’।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভবিষ্যতে চিকিৎসা খাতে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে ‘বায়োপ্রিন্ট’ করা শরীরের অংশ। আর এখন আক্ষরিকভাবেই পরীক্ষা চালাতে সুদূরে হাত বাড়াচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
মহাকাশে এই পরীক্ষা চালানোর পর পৃথিবীতে এর ফলাফল নিয়ে গবেষণা করবে সংস্থাগুলো। এর ফলে, হাঁটু সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আঘাতের চিকিৎসা সম্ভব হতে পারে, প্রায়ই যেটি নিয়ে সমস্যায় পড়েন মার্কিন সেনারা।
মহাকাশে শরীরের ‘পুরো অঙ্গের ৩ডি প্রিন্ট’ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে রেডওয়্যার। একে ‘দীর্ঘমেয়াদী’ লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে দেখছে তারা। এ ছাড়া, আরেকটি প্রকল্পে মহাকাশ-বান্ধব বিভিন্ন উদ্ভিদের জিন শনাক্তে নাসার ‘অ্যাডভান্সড প্ল্যাট হ্যাবিটেট’ সুবিধা ব্যবহার করছে কোম্পানিটি।
আরেকটি পরীক্ষায় তুলনামূলক কম মাধ্যাকর্ষণে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্সের জন্য পরোক্ষ শীতলীকরণ ব্যবস্থা তৈরি ও এর পরীক্ষা চালাতে নাসার একটি ‘ফার্নেস’ ব্যবহৃত হবে।
৬ নভেম্বর, রোববার নাসার ‘ওয়ালোপস আইল্যান্ড’ স্পেসপোর্ট থেকে উৎক্ষেপণ করা রকেটে মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে এই প্রিন্টার। পাশাপাশি, তিনটি অতিরিক্ত ‘পে লোড’ বহন করবে এটি।
নাসার মহাকাশে পাঠানো প্রথম ৩ডি প্রিন্টার নয় এটি। ‘চাঁদের মাটি’ প্রিন্টের পরীক্ষা চালাতে গত বছরই রেডওয়্যারের একটি প্রিন্টার মহাকাশ স্টেশনে পাঠিয়েছিল সংস্থাটি। চাঁদে কখনও বসবাসের বাস্তবতা তৈরি হলে, পৃথিবী থেকে কিছু সরবরাহ ছাড়াই সেখানে আবাসস্থল তৈরিতে একদিন সাহায্য করতে পারে এই প্রযুক্তি।
এনগ্যাজেট বলছে, এই বায়োপ্রিন্টার তুলনামূলক বাস্তবসম্মত। গবেষণাটি সফল হলে, ‘দান করা অঙ্গ’ বা ‘অজৈব’ ইমপ্লান্টের আশ্রয় না নিয়েই শরীরের ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিস্থাপন করতে পারবেন ডাক্তাররা।
এক চার্জে ১৯ দিন! নতুন ফ্লিপ ফোন বাজারে এনে টমক দেখালো নোকিয়া
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।