বিজ্ঞানীরা তাদের ল্যাবে একটি কৃত্রিম ব্ল্যাকহোল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ওই ব্ল্যাকহোল থেকে আলোর বিকিরণ ঘটেছে। এ প্রজেক্ট বিজ্ঞানীদেরকে নতুন ধরনের ব্ল্যাকহোল মডেল সবার সম্মুখে নিয়ে আসতে সাহায্য করবে।
কৃত্রিম ব্ল্যাকহোলের প্রজেক্ট এর জন্য পরমাণুর একক চেইন ব্যবহার করা হয়েছিল। বর্তমানে মহাবিশ্বকে বিজ্ঞানীরা দুটি উপায়ের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করে। তবে একটি থিওরি অন্যটির সাথে ঠিক মেলানো যায় না।
এর মধ্যে একটি থিওরি হচ্ছে আপেক্ষিকতা সাধারণ তত্ত্ব। এর সাহায্যে গ্র্যাভিটির বৈশিষ্ট্য, স্পেস টাইম, কোয়ান্টাম মেকানিজম ইত্যাদি বিষয়কে ব্যাখ্যা করা যায়। বিযুক্ত কণার বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করার জন্য সম্ভ্যাবতার গণিত ব্যবহার করা হয়।
কোয়ান্টাম ও মহাকাশের থিওরি বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে আসছেন এবং বিশ্লেষণ করেছেন। তবে এই দুইটি থিওরিকে একসাথে কাজে লাগানোর উপায় বের করা সম্ভব হচ্ছে না।
এই মহাবিশ্বের সবথেকে অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে ব্ল্যাকহোল। কোন বস্তুর এমন গতি নেই যা এটির কেন্দ্রীয় ভরকে ছাপিয়ে দূরে চলে যেতে পারে। এমনকি আলোর গতিতে কোন বস্তু চললেও সেটা সম্ভব নয়।
১৯৭৪ সালে স্টিফেন হকিং আলোর বিকিরণ নিয়ে কথা বলেছিলেন। হকিং এর বিকিরণের বিষয়টি বাস্তব হলেও তা বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য যথেষ্ট নয়। ব্ল্যাকহোলের রেডিয়েশনের রহস্য বের করা কঠিন কাজ। তবে ল্যাবে কৃত্রিম ব্ল্যাকহোল তৈরি করে তার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অনেক ধারণা অর্জন সম্ভব।
একমাত্রিক ইলেকট্রন পরমাণুর একটি শৃঙ্খলা বজায় রেখে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেনো চলতে পারে তার মাধ্যমে ব্ল্যাকহোলের এই মডেলটি তৈরি করা হয়েছে। বাস্তবে এ সিস্টেমটা যেভাবে কাজ করে প্রায় তার অনুরূপ কিছু তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
হকিং বিকিরণের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে ব্ল্যাকহোলের এই মডেলের সাহায্যে হকিং বিকিরণের বিষয়টি নিয়ে আরো গভীরভাবে স্টাডি করা সম্ভব। এ মডেল বিভিন্ন পরীক্ষায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
কোয়ান্টাম মেকানিজম এর মৌলিক বিষয় নিয়ে অধ্যয়ন করার ক্ষেত্রে ল্যাব এ তৈরি করা এ মডেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছেন গবেষকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।