আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে ব্যাপক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। এমন উদ্যোগ দেশটিকে মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে একটি অগ্রণী দেশে পরিণত করছে।
উত্তর-পূর্ব চীনের চিলিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পরীক্ষাগারে গবেষকরা চাঁদে চলাচল করতে সক্ষম হবে এমন যানবাহন বিকাশের চেষ্টা করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির জীববিজ্ঞান ও কৃষি প্রকৌশল কলেজের অধ্যাপক চাং রুই বলেন, ‘আমরা এখানে ছোট চাকা এবং চাঁদের মাটির মধ্যকার পারস্পরিক প্রভাব পরীক্ষা করছি। আমাদের লক্ষ্য রোভারকে আরও দূর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া এবং চাঁদের পৃষ্ঠে আরও ভালো পারফর্ম করানো।’
এছাড়া মঙ্গল গ্রহের বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিস্থিতি অনুকরণ করে রোভার ডিজাইনের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন গবেষকরা। ভবিষ্যতে মঙ্গলে রোভারগুলো যে ধরনের পথের সম্মুখীন হতে পারে তার অনুকরণে করা হয়েছে একটি পথ। চীনা গবেষকদের বিকশিত এই চার চাকার যানটি মঙ্গলের আদলে তৈরি মাটিতে চলাচল করতে সক্ষম এবং ২০ সেন্টিমিটার উঁচু বাধা অতিক্রম করতে পারে।
এই যানটির চাকায় সেন্সর রয়েছে। এই সেন্সর ব্যবহার করে গবেষকরা বিভিন্ন পরিবেশে রোভারের কার্যকারিতা সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করেছেন।
পৃথিবীতে পরীক্ষাগুলো আরও কার্যকর করার জন্য বিজ্ঞানীদের প্রথম কাজ হলো মঙ্গল এবং চাঁদের আদলে পরিবেশ তৈরি করা। জীববিজ্ঞান ও কৃষি প্রকৌশল কলেজের সিনিয়র প্রকৌশলী লী সিউচুয়ান বলেন, আমরা এখন মঙ্গল এবং চাঁদের পৃষ্ঠের আদলে পরিবেশ তৈরির ওপর কাজ করছি।
অন্যান্য বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং কাজ সম্পূর্ণ করতে প্রতিটি মহাকাশ যাত্রায় সহায়তা করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন।
চেংচৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ সেন্টার ফর রাবার প্লাস্টিক মোল্ড টেকনোলজির নির্বাহী পরিচালক লিয়ু ছুনথাই বলেন, এই মহাকাশ মাস্কটি ১০০ থেকে -১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে, যা আমাদের মহাকাশচারীদের মহাকাশে খুবই কাজে দেবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।