মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির ডাস্টের মধ্যে Ghost Particle এর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেছে যে, এ Ghost Particle এর মধ্যে উচ্চশক্তি বিশিষ্ট নিউট্রিনো অবস্থিত। এদের সাথে আবার ব্ল্যাক হোলের সম্পর্ক আছে।
এ নতুন তথ্যের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা বিষয়টির গভীরে গিয়ে অনুসন্ধানের আগ্রহ দেখিয়েছেন। তারা এখন অন্যান্য ছায়াপথের উচ্চশক্তি বিশিষ্ট নিউট্রিনো রয়েছে এরকম Ghost Particle এর সন্ধান করতে চান।
মেসিয়ার ৭৭ ছায়াপথ থেকে এসব উচ্চশক্তি বিশিষ্ট নিউট্রিনোর আবির্ভাব বলে বিজ্ঞানের ধারণা করছেন। বিজ্ঞানীরা একই বৈশিষ্ট্যের অধিকারী এরকম দশটি নিউট্রিনোর সন্ধান পেয়েছেন।
University of Wisconsin Madison এর পদার্থবিজ্ঞানী Francis Halzen বলেন যে, আমরা অনেকগুলি নিউট্রিনো পর্যবেক্ষণ করবো এবং এ শক্তিশালী অবজেক্টর রহস্য উন্মোচন করার চেষ্টা করব।
মেসিয়ার ৭৭ ছায়াপথ থেকে উচ্চশক্তির বিশিষ্ট আরও ৮৮টি নিউট্রিনোর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। নিউট্রিনো হচ্ছে সাব-এটমিক কণা যা তেজস্ক্রিয় ক্ষয় দ্বারা তৈরি এবং সমগ্র মহাবিশ্ব জুড়ে এটি পাওয়া যায়।
নিউট্রিনো খুবই সাধারণ একটি কণা। এসব Ghost Particle এর উপর মহাবিশ্বের কোন প্রভাব নেই। তারা সবসময় একটি সোজা লাইন বজায় রেখে চলতে থাকে। ব্ল্যাক হোলের কাছ দিয়ে কোন পাওয়ারফুল জেট চলে গেলে সেখান থেকে কসমিক রশ্মির উদ্ভব ঘটে। এ কসমিক রশ্নির থেকে এরকম উচ্চশক্তি বিশিষ্ট নিউট্রিনো তৈরি হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন ব্ল্যাক হোল নিয়ে গবেষণা করার ক্ষেত্রে এসব নিউট্রিনো কণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নিউট্রিনো নিয়ে স্টাডি করলে ব্ল্যাক হোল গবেষণায় তা অবদান রাখবে।
ব্ল্যাক হোলের নতুন মডেল এ দেখা যায় যে, এটির গ্যাস, ধুলাবালি এবং রেডিয়েশন গামা রশ্নিকে ব্লক করে দিতে পারে। এ গামা রশ্নি সাধারণত নিউট্রিনোর সাথে চলে যায়। বিশেষ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী এ নিউট্রোনো কণা খুব দ্রুত গতিতে মুভ করে থাকে।
এসব নিউট্রিনোর সংখ্যা মহাবিশ্বে অসংখ্য থাকবে বলে মনে করা হয়। নিউট্রিনো এবং গ্র্যাভিটি নিয়ে যেন বড় পরিসরে গবেষণা করা যায় সেজন্য বিশাল প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে বিজ্ঞানীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।