বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : মহাবিশ্বের অজানা রহস্য উন্মোচনে বিজ্ঞানীরা এবার পুরোপুরি প্রস্তুত করেছেন ৩,২০০ মেগাপিক্সেল বা ৩.২ গিগাপিক্সেল রেজুলেশনের অত্যন্ত শক্তিশালী ডিজিটাল ক্যামেরা। যেখানে ১ গিগাপিক্সেলের সক্ষমতা ১,০০০ মেগাপিক্সেলের সমান ধরা হয়। এটিকে আর্দ্রতা ও দূষণ থেকে রক্ষা করতে মাইনাস -১০০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় চিলিতে অবস্থিত ভেরা সি রুবিন অবজার্ভেটরিতে স্থাপন করা হয়েছে।
নতুন প্রজন্মের এই সুপার হাই ৩,২০০ মেগাপিক্সেল রেজুলেশনের ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে আমাদের দৃষ্টিসীমার বাইরে একেবারে হাজার হাজার আলোকবর্ষ দূরত্বে থাকা অজানা অবজেক্টের পারফেক্ট ইমেজ ধারণ করা সম্ভব হবে।বিজ্ঞানীরা এর দ্বারা মহাবিশ্বের অদৃশ্য ও রহস্যময় ডার্ক ম্যাটার ও ডার্ক এনার্জি শনাক্ত করতে পারবেন বলে আশাবাদী।
মূলত ২,৮০০ কেজি ওজনের ল্যান্ড বেসড লিগ্যাসি সার্ভে অব স্পেস অ্যান্ড টাইম (এলএসএসটি) নামের এই উচ্চ প্রযুক্তির ডিজিটাল ক্যামেরাটি ডিজাইন ও তৈরি করেছে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক (এসএলএসি) ন্যাশনাল অ্যাক্সিলারেটর ল্যাবরেটরি। এর দৈর্ঘ্য ৩.৭৩ মিটার, উচ্চতা ১.৬৫ মিটার এবং এই অ্যাডভান্স ডিজিটাল ক্যামেরার লেন্সের আকার হচ্ছে কিনা ১.৫৭ মিটার।
এটি প্রতি ১৫ সেকেন্ড অন্তর আকারে চাঁদের চেয়ে সাত গুণ বড় আকাশের বিভিন্ন অংশের ছবি তুলবে। এভাবে প্রতিরাতে আকাশের সম্পূর্ণ একটি প্যানোরোমা ইমেজ ধারণ করে সংরক্ষণ করবে। আর বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী ডিজিটাল ক্যামেরা হিসেবে এটি ইতোমধ্যেই গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়েছে। তাছাড়া এটি ডিজাইন ও তৈরি করতে সাত বছরে মোট প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলারের অধিক অর্থ ব্যয় করা হয়।
তাছাড়া এটি ব্যবহার করে আকাশের ৩.৫° জুড়ে ছবি তুলতে পারবেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। তারা আশা করছেন যে, এটি ব্যবহার করে পর্যায়ক্রমে আমাদের চিরচেনা আকাশগঙ্গা ছায়াপথের আনুমানিক ১,৭০০ কোটি নক্ষত্রের এক নিখুঁত থ্রিডি মানচিত্র তৈরি করা হবে। যাকে স্পেস সায়েন্সে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার হিসেবে বিবেচনা করছেন বিজ্ঞানীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।