অন্ধকার রাতের আকাশে জ্বলজ্বল করে বিশালাকার চাঁদ। একেকদিন একেক আকৃতির চাঁদ আমাদের চোখে ধরা পড়ে। পৃথিবীর মতো অনেক গ্রহেরই আলাদা চাঁদ আছে। তবে বেশ কিছু গ্রহের নিজস্ব চাঁদ নেই। আর তাই পৃথিবীর মতো সব গ্রহের চাঁদ নেই কেন, তা জানতে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা।
চাঁদকে প্রাকৃতিক উপগ্রহ বলা হয়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা উপগ্রহ বলতে মহাকাশের এমন সব বস্তুকে বুঝিয়ে থাকেন যা মূলত কোনো মহাকাশীয় বৃহত্তর বস্তুকে প্রদক্ষিণ করে। যেহেতু চাঁদ মানুষের তৈরি নয়, তাই এটি একটি প্রাকৃতিক উপগ্রহ। কিছু গ্রহের উপগ্রহ আছে, আবার কিছু গ্রহের উপগ্রহ নেই। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, উপগ্রহ মহাকর্ষীয়ভাবে একটি গ্রহের হিল স্ফিয়ার এলাকার মধ্যে থাকে।
হিল স্ফিয়ার এলাকা বলতে গ্রহের অভিকর্ষের প্রভাব থাকা স্থানকে বোঝানো হয়ে থাকে। এই হিল স্ফিয়ার এলাকা গ্রহভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। বুধ গ্রহের চেয়ে পৃথিবীর হিল স্ফিয়ার বড়। তাই বুধের মতো ছোট গ্রহগুলো বেশি এলাকাজুড়ে মাধ্যাকর্ষণ প্রয়োগ করতে পারে না। ফলে এসব গ্রহের কোনো চাঁদ থাকে না।
পৃথিবীর একটি উপগ্রহ থাকলেও বৃহস্পতি গ্রহের রয়েছে ৯৫টি উপগ্রহ। তবে উপগ্রহের সংখ্যা নিয়ে প্রতিযোগিতা হলে সৌরজগতে থাকা গ্রহগুলোর মধ্যে নিঃসন্দেহে বিজয়ী হবে শনি গ্রহ। শনি গ্রহে ১৪৬টি উপগ্রহ রয়েছে। অন্যদিকে শুক্র গ্রহের মতো বিশাল গ্রহের কোনো উপগ্রহ নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।