বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হওয়া সবথেকে বড় নিউট্রন স্টারের খোঁজ দিলেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। এর নাম দেয়া হয়েছে PSR J0952–0607। ২০১৬ সালে এটির সন্ধান পাওয়া গেলেও এ নিয়ে বিস্তারিত জানতে গবেষণা চলতে থাকে। এটি প্রায় ৩২০০ থেকে ৫৭০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত সেক্সট্যানস কন্সটেলেশনে অবস্থিত। এ খবর দিয়েছে জেরুজালেম পোস্ট।
খবরে জানানো হয়, একটি নিউট্রন স্টার হচ্ছে মূলত অস্বাভাবিক রকমের বড় নক্ষত্রের মৃত্যুর পরের অবস্থা। নক্ষত্রগুলো তাদের ভেতরে থাকা জ্বালানি পুড়িয়ে শক্তি উৎপাদন করে। এভাবেই নক্ষত্রগুলো এতো উত্তপ্ত থাকে সবসময়। বিলিয়ন বিলিয়ন বছর ধরে নক্ষত্রগুলো জ্বলতে থাকে। তবে এক পর্যায়ে জ্বালানি শেষ হয়ে মৃত নক্ষত্রে পরিণত হয় সেগুলো। আমাদের সূর্য্যও সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তবে সূর্য্য মূলত ছোট আকারের নক্ষত্র। তবে বড় নক্ষত্রের ক্ষেত্রে মৃত্যুর সময় একটি বিস্ফোরণ দেখা দেয়, যাকে সুপারনোভা বলে। সুপারনোভার কারণে সব ছড়িয়ে গেলেও নক্ষত্রের ‘কোর’ তার প্রবল অভিকর্ষ বল এবং ওজনের কারণে ক্ষুদ্র একটি ভারি বস্তুতে পরিণত হয়। এমন অবস্থাকেই বলা হয় নিউট্রন স্টার।
তবে একে বামন নক্ষত্রের সঙ্গে তুলনা দেয়া যাবে না। দুটোই আকারে ক্ষুদ্র হলেও নিউট্রন স্টার অনেক ভরসম্পন্ন হয়। নিউট্রন স্টারের জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে সেটি আর তাপ উৎপাদন করতে পারে না। তবে সেগুলো যথেষ্ট উত্তপ্ত থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই তাপ কমে যায়। তবে নিউট্রন স্টারের সবথেকে আকর্ষনীয় দিক হচ্ছে এটি সাধারণ পরমাণু দিয়ে তৈরি না। এত বড় নক্ষত্রের ভেঙে পড়ার কারণে যে ঘনত্ব সৃষ্টি হয় তাতে পরমাণু ভেঙে পুরো বস্তুটি শুধু নিউট্রনের হয়ে থাকে। আর এ কারণেই এর নাম দেয়া হয়েছে নিউট্রন স্টার।
এতো কিছুর পরেও নিউট্রন স্টারের ঘুর্ণন থামে না। এটি এক সেকেন্ডে শতাধিকবার ঘুরতে পারে। এই সময় অনেক নিউট্রন স্টার ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন ছাড়ে। পৃথিবী থেকে এই রেডিয়েশনই দেখা যায়। এগুলোকে বলা হয় পালসার। সাধারণ অবস্থায় নিউট্রন স্টার খুঁজে পাওয়া কঠিন, কারণ এগুলো রেডিয়েশন ছড়ায় না। তবে পালসার শনাক্ত করা খুব সহজ। শুধুমাত্র মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতেই এক বিলিয়ন নিউট্রন স্টার আছে বলে ধারণা করা হয়।
অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে ঘুরল পৃথিবী, দুশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।